ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিরসনে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরে আসতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো আন্তোনিও রুবিও।
দুই নেতার সঙ্গে আলাপে রুবিও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার ওপর জোর দেন এবং দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনে সংলাপ ও কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানান।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তথ্য জানানো হয়েছে। ‘প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন। জোর দিয়ে বলেছেন যে পাকিস্তান জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের অধীনে আত্মরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার রাখে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সেক্রেটারি মার্কো রুবিও জয়শঙ্করের সাথে কথা বলেছেন। এ সময় সেক্রেটারি অবিলম্বে উত্তেজনা কমানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি সংলাপের প্রতি মার্কিন সমর্থন ব্যক্ত করেন।
বিবৃতি অনুসারে, সেক্রেটারি রুবিও উল্লেখ করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। কারণ তারা শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য পাকিস্তান এবং ভারত উভয়ের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন নিহতের পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়ে। বুধবার (৭ মে) ভোরে পাকিস্তানের অন্তত নয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ভারত। এরপর পাকিস্তানও পাল্টা হামলা করে।