আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার জুমার নামাজের পর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার কাছে ফোয়ারার সামনে শুরু হয়েছে বড় জমায়েত।
বেলা ২টা ৪০ মিনিটের দিকে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে জমায়েতের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ উপলক্ষে মঞ্চ থেকে নানা স্লোগান দেওয়া হচ্ছে৷ স্লোগানের এক ফাঁকে মঞ্চ থেকে মাইকে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, আমাদের লড়াই মাত্র শুরু হয়েছে। যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
মঞ্চ থেকে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্লোগান—‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাই’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘নো মোর আওয়ামী লীগ’। মাঝে মাঝে কবিতা আবৃত্তি ও বক্তৃতাও চলছে। এর আগে ফোয়ারা থেকে পরীবাগ পর্যন্ত সড়কে লাল রঙ দিয়ে লেখা হয় প্রতিবাদী স্লোগান—‘ক্ষমতা না জনতা?’, ‘চেয়ারের লোভ করে যে, আস্তাকুঁড়ে মরে সে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে যমুনার সামনে চলা অবস্থান কর্মসূচির সূচনা করেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। রাত ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে ধাপে ধাপে যোগ দেন এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, হেফাজত, এবি পার্টি, জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত ও এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঘোষণা দেন—জুমার পর যমুনার পশ্চিম পাশে ফোয়ারার সামনে হবে আরও বড় জমায়েত। এরপর পাঁচটি পিকআপ একত্র করে সামিয়ানা দিয়ে তৈরি করা হয় অস্থায়ী মঞ্চ।