বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

পাবিপ্রবিতে গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার ৩ দিনে ৫ হাজার অভিভাবককে আপ্যায়ন

আপডেট : ০৯ মে ২০২৫, ১৮:৪৫

সি ইউনিটের (বাণিজ্য) পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গুচ্ছভুক্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয় গত ২৫ এপ্রিল। আজ শুক্রবার (৯ মে) এ ইউনিটের (বিজ্ঞান) পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এই তিন পরীক্ষায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) কেন্দ্রে ১৮ হাজার ২শ ৯৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন।

তিনদিনের ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা প্রায় ৫ হাজার অভিভাবকের বসার এবং আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিভাবকদের সঙ্গে দেখা করেছেন, তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন অতিথিসুলভ ব্যবহারের প্রশংসা করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা।

ছবি: ইত্তেফাক

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের জন্য তৈরি করা ছাউনিটা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার দিন অভিভাবকদের বসার জন্য প্রায় ২ হাজার চেয়ারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এর সঙ্গে ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছাউনিতে বিশ্রাম নিতে আসা প্রত্যেক অভিভাবকের জন্য নাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে, রাখা হয়েছে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা। অভিভাবকদের সহযোগিতার জন্য রাখার জন্য সার্বক্ষণিক উপস্থিত ছিলেন দুইজন শিক্ষক এবং রোভার স্কাউটের সদস্যরা।

রাজশাহী থেকে আসা এক অভিভাবক বলেন, ‘এমন অতিথিসুলভ কেন্দ্র আর কোথাও দেখিনি। আমার ছেলে আরও কয়েক জায়গায় পরীক্ষায় দিয়েছে কিন্তু কোথায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের লোকজন এসে খোঁজ নেয়নি। এখানে উপাচার্য এসে আমাদের খোঁজ নিচ্ছেন এটা দেখে ভালো লাগলো।’

ছবি: ইত্তেফাক

নাটোরের এক অভিভাবক বলেন, ‘এখানে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে, আপ্যায়নেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এমন দেখে ভালো লেগেছে। অন্য জায়গাতে গিয়ে গাছের ছায়ায়, দোকানের নিচে বসতে হয়েছে কিন্তু এখানে একেবারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সুন্দর একটা জায়গাতে আমাদের বসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল-আওয়াল বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের অভিভাবকদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করতে। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতার জন্য আমরা উনাদের ভালো সেবা দিতে পারিনি। আমরা আগামীতে অভিভাবকদের আরও ভালো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করবো।’

ইত্তেফাক/এসএএস