ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার জেরে শ্রীনগর, অমৃতসর ও চণ্ডীগড়সহ উত্তর ও পশ্চিম ভারতের ৩২টি বিমানবন্দরে বেসামরিক ফ্লাইট চলাচল ১৫ মে সকাল ৫টা ২৯ মিনিট পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (১০ মে) ভোরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যখন ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ (DGCA) এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (AAI) এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, "অপারেশনাল কারণে" এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বন্ধ থাকা ৩২টি বিমানবন্দরের মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হল:
উত্তরাঞ্চলে: শ্রীনগর, জম্মু, লেহ, পাথানকোট, অমৃতসর, চণ্ডীগড়, হালওয়ারা, হিন্ডন, কাংড়া (গাগ্গল), শিমলা, কুল্লু মানালি।
পশ্চিমাঞ্চলে: ভূজ, জামনগর, রাজকোট, যোধপুর, জয়সলমীর, বাথিন্ডা, আম্বালা, কিষাণগড়, লুধিয়ানা, পোরবন্দর, কেশোদ, নালিয়া, অবন্তীপুর, থোইস, সারসাওয়া, কান্ডলা, উত্তরলাই প্রভৃতি।
এই সামরিক পরিস্থিতির কারণে দিল্লি ও মুম্বাইয়ের মধ্যে ২৫টি এয়ার ট্রাফিক সার্ভিস (ATS) রুট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। বিমান সংস্থাগুলোকে বিকল্প রুটে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছে DGCA।
এদিকে, এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো জানিয়েছে, যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে জম্মু, শ্রীনগর, লেহ, যোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, রাজকোটসহ ১০টির বেশি গন্তব্যে তাদের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
ডিজিসিএ জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র "কার্যকরী ও নিরাপত্তাজনিত" কারণেই নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (ATC) ইউনিটগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রেখে পুরো বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর প্রতিশোধে ৩০ এপ্রিল ভারত পাকিস্তানের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। ২৪ এপ্রিল পাকিস্তানও একই পদক্ষেপ নেয়। ৭ মে "অপারেশন সিন্দুর" এর অধীনে ভারত পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) নয়টি স্থানে হামলা চালায়। এই ঘটনার পর থেকেই সীমান্তে গোলাগুলি শুরু হয় এবং দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত চরমে পৌঁছায়।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
