মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন করা হবে: আসিফ নজরুল

আপডেট : ১০ মে ২০২৫, ১৮:৪৭

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড.আসিফ নজরুল বলেছেন, ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন করা হবে। 

শনিবার (১০ মে) বিকালে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ, ২০২৫’ (দ্বিতীয় খসড়া)–এর ওপর একটি মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, যারা জুলাই-আগস্ট মাসের ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার। সবকিছুই খুব প্রফেশনালভাবে নিষ্পত্তি করতে চাই আমরা।

তিনি আরও বলেন, ফরহাদ (ফরহাদ মজহার) ভাই, বারবার ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশনের কথা উল্লেখ করেছেন। ট্রুথ জাস্টিস কমিশন অথবা ট্রুথ রিকনসিলিয়েশন কমিশনের খুব দরকার আছে। ১৯৭২ সাল থেকে আমাদের দেশে এটা থাকলে ভালোই হতো। 

আইন উপদেষ্টা বলেন, সবকিছুই খুব প্রফেশনালভাবে নিষ্পত্তি করতে চাই আমরা। ... ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন করব আমরা। এজন্য সাউথ আফ্রিকায় প্রধান উপদেষ্টা এবং আমি যাব। ফিরে এসে বিস্তারিত জানানো হবে আপনাদের। 

গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশের বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, এ আইনটা যত ভালো করে করা যায়, তেমনভাবেই করব আমরা। বিবেচনায় সব পরামর্শই থাকবে। এই আইনটা করে যেতে চাই আমরা। কারণ, পরের সরকার এটা করবে কি না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত নই আমরা। 

এছাড়াও, পরবর্তী সরকার গুমের কোনো আইন করলেও সেটা শক্তিশালী করবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আসিফ নজরুল। 

তিনি বলেন, এ আইনটা খুব শক্তিশালী করতে চাই আমরা। এখানে যে কমিশন আছে সেটাও খুব শক্তিশালী করতে চাই। কারণ, আমরা এটাও কনফার্ম না যে, পরবর্তী সরকার গুমের কোনো আইন করলেও সেটা শক্তিশালী করবে কি না। 

এদিকে, অতীত অপরাধকে কীভাবে এই আইনের আওতায় আনা যায়, সেক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, দোষীদের সাজার ব্যবস্থা করতে বদ্ধপরিকর আমরা। 

সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, আইনজীবীসহ বিশিষ্ট ব্যাক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন। এই অধ্যাদেশের দ্বিতীয় খসড়ার বিভিন্ন অস্পষ্টতা এবং সংশোধনযোগ্য ভুলগুলো তুলে ধরেন তারা। বক্তারা 

বলেন, এই ইস্যু সমাধান না করতে পারলে এই রাষ্ট্র অস্থিতিশীল হবে। জনগণের মনে তৈরি হবে ভীতি। 

ইত্তেফাক/এমএস