ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও হল শাখা ছাত্রদলের নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রদল। বুধবার (১৪ মে) দুপুর ১টায় এ কর্মসূচি করে দলটির নেতাকর্মীরা।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও একাডেমিক ভবন প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে সমবেত হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আন্দোলন করেছে। অনেক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর সব জায়গায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা খুনের শিকার হচ্ছে। কিন্তু অন্য কোনো দলের নেতাকর্মীরা তো খুন হচ্ছে না। ছাত্রদলের রক্ত খুনিদের কাছে এতো মজা কেন। কিন্তু এত হত্যার পরেও বর্তমান সরকার দৃষ্টান্তমূলক কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। প্রশাসন কেন এসব জায়গায় চুপ থাকে। আমাদের ভাই সাম্য হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। অতি দ্রুত এই হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। সরকার যদি এর বিচার করতে না পারে তাহলে তাদের পদত্যাগ করা উচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রোক্টর ও ভিসিকেও পদত্যাগ করা উচিত।’
শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক শাহেদ আহম্মেদ বলেন, আমার গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পরেও আমাদের ছাত্রদলের ভাইরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে। আজ ঢাবি ছাত্রদল নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, এর আগে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আন্দোলনের এতো মাস পরেও বর্তমান সরকার আইনশৃঙ্খলা ঠিক করতে পারছে না। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পরেও বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। কিন্তু আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। আমরা ছাত্রদল নেতার হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। এখনো বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় স্বৈরাচারের দোসররা পদে বসে আছে। এদের বিষয়ে ইউনুস সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমরা সকল জায়গা থেকে এইসকল দোসরদের অপসারণ চাই। আমরা দেশে আর কোনো হত্যাকাণ্ড দেখতে চাই না।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হন। নিহত সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানা এলাকায়।