শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

জবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে গড়িমসি কেন, প্রশ্ন সারজিসের

আপডেট : ১৫ মে ২০২৫, ১৬:১৩

চার দফা দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম ‘শাটডাউন’ ঘোষণা করেছেন তারা। গতকাল বুধবার থেকে প্রায় ২৪ ঘণ্টা রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।

এমন পরিস্থিতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোকে যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ‘যৌক্তিক’ দাবিগুলো মেনে নিতে এত গড়িমসি কেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন এনসিপির এই নেতা।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন। 

সারজিস তার পোস্টে লিখেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিতে এত গড়িমসি কেন? তাদেরকে আবার রাস্তায় নামতে হলো কেন? বছরের পর বছর ধরে পুরো দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাষ করা হয়েছে। অথচ ঢাকার বুকে দেশের প্রথমসারির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কোন আবাসিক হল নেই। মেয়েদের জন্য নামমাত্র একটি আবাসিক হল আছে। একাডেমিক স্পেসও চাহিদার তুলনায় নেই বললেই চলে।’

শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকটের কথা তুলে ধরে সারজিস লিখেন, ‘যেই সদরঘাট এলাকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত সেটি ঢাকার বসবাসের সবচেয়ে অনুপযোগী একটি জায়গা। সেখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী কিভাবে থাকবে কিংবা থাকে এগুলো নিয়ে কি কারো মাথাব্যথা নাই?’

আওয়ামী লীগ পতন হওয়ার পরও কেন এখনো এই সমস্যাগুলোর সমাধান হলো না সেই প্রশ্ন তুলে সারজিস লিখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের অনেক জায়গা এবং ভবন এতদিন ধরে দখল করেছিল আওয়ামী লীগের দখলদাররা। কিন্তু এখনো কেন তারা তাদের জায়গা কিংবা ভবনগুলো ফিরে পাচ্ছে না? কেন তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দিয়ে দ্রুতগতির সঙ্গে করা হচ্ছে না? কেন একনেকে এখনো সেই বিল পাস হচ্ছে না?’

সারজিস আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তো বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিল। তাদের জন্য আলাদা করে কি হলো? কোন সংস্কারটা করা হলো? কোন সুযোগ সুবিধাটা বাড়ল?’

পোস্টের শেষাংশে সারজিস লিখেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌক্তিক দাবি গুলো অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হোক। নামকাওয়াস্তে নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপে প্রতীয়মান হোক।’

ইত্তেফাক/কেএইচ