বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন ২ দিনের ‘অর্ধদিবস’ কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়েছে। জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন-ভাতা প্রদান এবং ব্লকপদ বিলুপ্ত করে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নের দুদফা দাবি পূরণ না হওয়ায় নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
শুক্রবার (১৬ মে) পুরান ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মো. রেজোয়ান খন্দকার এ ঘোষণা দেন। এ সময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. সালাউদ্দিনসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রেজোয়ান খন্দকার বলেন, ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসাবে ৫ মে সারা দেশে অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মচারীরা নিজ নিজ আদালত প্রাঙ্গণে ২ ঘণ্টা সর্বাÍক কর্মবিরতি পালন করেন। তবে আমাদের দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২২ ও ২৩ জুন ২ দিন সারা দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মচারীরা ‘অর্ধদিবস’ সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবেন। এরপরেও দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর কর্মসূচি পালন করব।
তিনি আরও বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হয়। বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার পর শুধু মাননীয় বিচারকদের জন্য ৬টি গ্রেড রেখে পৃথক পে-স্কেলসহ নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করা হলেও সহায়ক কর্মচারীদের পে-স্কেলের আওতাভুক্ত করা হয়নি। বিচারকদের সঙ্গে আদালতের সহায়ক কর্মচারীরা একই দপ্তরে কাজ করেন। তা সত্তে¡ও জুডিশিয়াল সার্ভিস পে-স্কেলের আলোকে বিচারকদের বেতন-ভাতাদি প্রদেয় হলেও সহায়ক কর্মচারীরা জনপ্রশাসনের আলোকে বেতন-ভাতাদি পেয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, বিচারকদের জন্য বিচারিক ভাতা, চৌকি ভাতা, ডিসেম্বর মাসে দেওয়ানি আদালতের অবকাশকালীন দায়িত্ব ভাতাসহ ফৌজদারি আদালতে দায়িত্ব পালনের জন্য ১ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অবকাশ ভাতা প্রদানের বিধান থাকলেও বিচার সহায়ক কর্মচারীদের অনুরূপ কোনো ভাতা প্রদান করা হয় না। এক কথায় বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের পর বিচারকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হলেও সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত করা হয়েছে সহায়ক কর্মচারীদের।