ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছিল গান দিয়ে। আল আমিনের গানের বিশেষত্ব ছিল একসঙ্গে নারী ও পুরুষের কণ্ঠে গান করা। যা তাকে বিভিন্ন সময় আলোচনায় আনে। মূলত বাংলা সিনেমাগুলোর গানে একসঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গান করতেন। ‘সাথী তুমি আমার জীবনে’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’সহ অনেক গান গেয়ে আলোচনায় আসেন। সেখান থেকেই অভিনয়ের ডাক পান তিনি।
তারপর সবকিছুই যেন স্বপ্নের মতো। একটা সিনেমা বদলে দিল অভিনেতা ও গায়ক আল আমিনের জীবন। এই আল আমিন ‘আলী’ চরিত্রের মূল অভিনেতা। স্বল্পদৈর্ঘ্যটি এবার বাংলাদেশ থেকে কান চলচ্চিত্র উৎসবে থাকছে। সিনেমাটির প্রিমিয়ারে অংশ নিতে শনিবার (১৭ মে) কানে পৌঁছেছেন তরুণ অভিনেতা আল আমিন। আবেগাপ্লুত অভিনেতা লিখলেন, ‘প্লেনে কয়েকবার কান্না আসছিল।’
চলচ্চিত্রের বড় এ আয়োজনে যেতে পেরে বারবার আল আমিন পরিচালকের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি মনে করেন, দীর্ঘদিন পর নিজের ওপর একটা আস্থা তৈরি হওয়া মতো কিছু হলো। কারণ, ক্যারিয়ারের শুরুতে বিভিন্ন সময় অনেকের কথা শুনেছেন। দিনের পর দিন নানা রকম নেতিবাচক মন্তব্যের মুখোমুখি হয়েছেন। কখনো কাছের মানুষেরাও তার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করেছেন। সেই দিনগুলোই যেন এখন শক্তি জোগাচ্ছে।
আল আমিনের ভাষ্যে, ‘একসময় কত তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে আমায় অকথ্য ভাষায় কথা শুনতে হয়েছে। এসবই ছিল আমার এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা সব সময় আমাকে মানসিকভাবে সান্ত্বনা দিত। তাদের আমার ওপর আস্থা ছিল। সেই আস্থাই আমাকে কান উৎসবের মতো বড় প্ল্যাটফর্মে, নিজের দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দিয়েছে। এটাই আমার জীবনের বড় সফলতা।’
রোববার (১৮ মে) দুপুরে কান চলচ্চিত্র উৎসব থেকে আল আমিন গণমাধ্যমকে জানান, এখন হোটেল থেকে উৎসবে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। সিনেমার পরিচালক আদনান আল-রাজীব ও টিমের সঙ্গে কান উৎসবে যাবেন।
আল আমিন বলেন, ‘আমার জীবনের বড় সফলতা আমি পেয়ে গেছি। এখন আমাকে আর কেউ ছোট করতে পারবেন না। আমার এই অর্জন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে। সেসব নিয়েই দুই দিন ধরে খুব ভাবছিলাম। প্লেনে বসে বারবার কান্না আসছিল। বারবার এটাই ভাবলাম, ধৈর্য ধরলে আল্লাহ কীই- না করে। আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র উৎসবে আমার নাম।’