সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

পশুর হাটে যাওয়ার পথে গাড়ি থামানো হলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট : ১৯ মে ২০২৫, ১৭:২০

কোরবানির পশুবাহী যানবাহন যদি নির্ধারিত হাটে যাওয়ার পথে মাঝপথে থামানো হয়, তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সোমবার (১৯ মে) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, 'ঈদ-উল-আজহার সময় অনেক সময় কোরবানির পশুর হাটে শৃঙ্খলার অভাব দেখা দেয়। তাই এবার সিদ্ধান্ত হয়েছে—দেশের যেকোনো স্থান থেকে কোরবানির পশুবাহী যে গাড়িগুলো আসবে, সেগুলোর সামনে নির্দিষ্ট হাটের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। যত্রতত্র পশু নামানো যাবে না, কেবল নির্ধারিত হাটেই নামাতে হবে।'

তিনি বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি হাটে আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। কোনো হাটে ৭৫ জন, আবার কোথাও সংখ্যাটি পরিস্থিতি অনুযায়ী কম-বেশি হতে পারে। হাটে পশু চিকিৎসকের উপস্থিতিও বাধ্যতামূলক করা হবে যাতে অসুস্থ গরু বিক্রি না হয়। পশুর আঘাতে কেউ আহত হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য প্রতিটি হাটে ফার্স্ট এইডের ব্যবস্থা রাখা হবে। 

হাসিল নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এ বছর শতকরা ৫ টাকা হারে হাসিল নেওয়া হবে। তবে আগামী বছর থেকে ১০০ টাকায় ৪ টাকা হারে নির্ধারণ করা হবে। 

বাল্কহেড চলাচল সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে এবং ঈদের পর তিন দিন এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। কোনোভাবেই রাতের বেলায় এসব যান চলাচল করতে পারবে না।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, 'ঈদ সামনে রেখে বাস, ট্রেন কিংবা নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। পশুবাহী যানবাহনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।' 

বিক্ষোভ ও দাবি আদায় সম্পর্কে তিনি বলেন, 'মানুষের দাবি থাকবেই। আমরা চাইবো, সব মন্ত্রণালয় যৌক্তিক দাবিগুলো বিবেচনায় নিক। তবে কেউ যেন অযৌক্তিক দাবি তুলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে। দাবি থাকলে তা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণে উপস্থাপন করা উচিত, সড়ক বন্ধ করে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।'

ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, র‌্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইত্তেফাক/আইএ