যেসব নাগরিকের একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে, তাদের প্রথমটি রেখে বাকিগুলো বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (১৯ মে) নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘দুটি এনআইডি থাকার যে বিষয়টি, তা ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। আমরা কমিশনের সিদ্ধান্তক্রমে ও সচিবালয়ের নির্দেশনায় প্রথমটি রেখে দ্বিতীয়টি বাতিল করেছি। এ মুহূর্তে আমাদের জানা মতে, দুটি এনআইডি কারও নেই।’
এখন পর্যন্ত কতজন দ্বৈত ভোটারের পরিচয়পত্র স্থগিত করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘৫৮৬ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছিল। উনাদের এনআইডি লক ছিল। উনারা কোনোভাবেই নাগরিক সেবা নিতে পারছিলেন না। যেহেতু এখন প্রথমটা রেখে দ্বিতীয়টা বাতিল করা হয়েছে, তাই এখন তাঁদের প্রথম এনআইডি ওপেন হয়ে গেছে। উনারা এখন সেবা পাবেন।’
আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোটার রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলমান রেখেছে ইসি। এর পাশাপাশি দেশের বাইরের ভোটারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিও চলমান রাখা হয়েছে, জানান এ এস এম হুমায়ুন কবীর।
ইসির ডেটা সেন্টারের নিরাপত্তা প্রসঙ্গ টেনে এ এস এম হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, ‘এটা যেহেতু ২৪ ঘণ্টা চলে, তাই মাঝে মাঝে আমরা কিন্তু একটু বন্ধ করি। আবার চালু করি। গত পরশু দিন আমরা করেছিলাম। আপনারা নিশ্চয়ই খবর পেয়েছেন। তারপরে আমরা চার ঘণ্টা পরে ওটা আবার চালু করতে পেরেছি। রেগুলার (নিয়মিত) মেইনটেন্যান্স (রক্ষণাবেক্ষণ) হিসেবে আমরা কিন্তু কাজটা করি। এর ধারাবাহিকতায় আমাদের ডেটা সেন্টারটা আমাদেরই লোকদের দ্বারা আমরা একটু পরীক্ষা করিয়েছি যে এখানে কোনো সুবিধা-অসুবিধা আছে কি না। এটা আপডেটেড আছে কি না।’
ডেটা সেন্টার এখন পুরোপুরি নিরাপদ বলে জানান এ এস এম হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত বলা যায়, ডেটা সেন্টার পুরোপুরি নিরাপদ এবং এ নিয়ে এই মুহূর্তে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে না। কিন্তু যাতে কোনোভাবেই কোনো ডেটা লিক না হয় বা অন্য কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য দৈনন্দিন যে কার্যক্রম, এটা চলমান রয়েছে এবং থাকবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ব্যাংকিং সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান জটিলতা নিরসনের বিষয়ে ইসির সঙ্গে আলোচনায় বসেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। বৈঠকের বিষয়ে এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘তাঁদের কী কী অসুবিধা হতে পারে অথবা আমাদের পক্ষ থেকে তাঁরা কী কী সেবা পেতে পারেন, এটা একটু ক্লিয়ার হতে এসেছিলেন তাঁরা।’
ইসির নতুন সিদ্ধান্তের ফলে গ্রাহকদের টাকা উত্তোলনে কোনো সমস্যা হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত হয়নি, হওয়ার কথাও নাই।’