শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

রাবিতে ৩ বছর আগে শিবিরের দেওয়া কুরবানির গোশতের হদিস মেলেনি আজও

আপডেট : ০২ জুন ২০২৫, ১৮:৩৪

২০২২ সালের ১২ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে যেসব ছাত্ররা ঈদ করেছিলেন তাদের মাঝে গোশত বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছিল শাখা ছাত্রশিবির। কিন্তু তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই মাংস হলগেট গুলোতে জব্দ করে তা প্রশাসনের সংরক্ষণে রাখে। পরবর্তী সময়ে ঐ মাংসের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। আসন্ন ইদুল আযহাকে কেন্দ্র করে এ বিষয়টি নিয়ে ফের ক্যাম্পাসে আবার শুরু হয়েছে নানা আলোচনা সমালোচনা।

এ বিষয়ে তৎকালীন রাবি সেক্রেটারি ও সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম শনিবার (৩১ মে) তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেন। তার নেতৃত্বে হলগুলোতে বিভিন্ন টিম গোশত বিতরণে গিয়েছিল।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঐতিহ্য হলো প্রতিবছর স্থানীয় শহীদ পরিবার, জনশক্তি, গরিব শিক্ষার্থী ও অসহায় পরিবারগুলো নিয়ে একসাথে ঈদ উদযাপন করা। সেই ধারাবাহিতায় ২০২২ সালের ১০ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে গোশত উপহার দেওয়ার সকল পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। বিভিন্ন ভাইদের আন্তরিকতায় ও আল্লাহর রহমতে আমরা ৬টি গরু ও ২১টি খাসি কুরবানি করতে সক্ষম হয়েছিলাম।

আমাদের সবচেয়ে কষ্ট হচ্ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থানরত ২২৬ জন শিক্ষার্থী ভাই-বোনদের কথা ভেবে। তাদের কাছে আমরা কীভাবে গোশত পৌঁছাব? প্রশাসনের কঠোর নজরদারির কারণে বিগত বছরগুলোতে গোপনে কিছু পরিবার এবং শিক্ষার্থীদের নিকট পৌঁছানো হতো। কিন্তু হলের সকল ভাই-বোনের কাছে প্রশান্তির সাথে গোশত পৌঁছাতে পারিনি। আমাদের গোশত পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর জানতে পারলাম, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোশতগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ পরিষদ ঈদের আনন্দ বাদ দিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছে। তখন খুব খারাপ লেগেছিল।

জব্দ করা সেই কুরবানির গোশত কী করা হয়েছিল জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, এটা ৩ বছর আগের ঘটনা। সেসময় শুনেছিলাম যে শিবিরের দেওয়া মাংস জব্দ করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এ বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে কিছু পুরাতন কর্মচারী রয়েছে তাদের জিজ্ঞাসা করলে এ বিষয়ে খবর পাওয়া যাবে।

আসন্ন ঈদুল আজহায় ছাত্রশিবির যদি আবারও কুরবানির গোশত বিতরণের উদ্যোগ নেয় তাহলে প্রশাসনের অবস্থান কী থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেকোনো পজিটিভ কাজে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো বাঁধা দেবে না। আপনারা জানেন এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অনেক সামাজিক সংগঠন, জেলা সমিতি সহযোগিতা করেছিল। তারা শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করতে চাইলে আমরা এপ্রিসিয়েট করব এবং এতে কোনো সহযোগিতা লাগলে আমরাও করব।

ইত্তেফাক/এএইচপি