বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

মেঘনায় ট্রলারডুবি: নদী তীরে ভেসে এলো পুলিশ সদস্যের মরদেহ 

আপডেট : ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:৫৮

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় সাইফুল ইসলাম (২৫) নামের এক পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে তিন বছর বয়সি রোহিঙ্গা শিশু তামিম। 

সোমবার (২ জুন) বিকেলে হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের দরবেশ বাজারসংলগ্ন মেঘনা নদীতে ওই পুলিশ সদস্যের মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। হাতিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফয়জুল আজীম। 

দুর্ঘটনায় মৃত সাইফুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলাম ও রহিমা বেগম দম্পতির একমাত্র ছেলে। তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহিম বলেন, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে মেঘনা নদীর কিনারে ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে ছবি উঠিয়ে পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি নিখোঁজ নায়েক সাইফুলের বলে শনাক্ত করে।

পুলিশ জানায়, সাইফুলের সঙ্গে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এর আগে নদী থেকে তার ব্যবহৃত ব্যাগে পুলিশের পোশাক, আইডি কার্ডসহ বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায়। সাইফুলের এমন মৃত্যুতে নোয়াখালী জেলা পুলিশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এর আগে শনিবার বিকেলে হাতিয়ার ভাসানচর থেকে করিমবাজার ঘাটে যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবচরে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। ট্রলারটিতে ৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। তার মধ্যে মাঝি ও যাত্রীসহ মোট ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ভাসানচরের সাব পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার গিয়াস উদ্দিন এবং লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে হাসিনা খাতুন নামে এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও এক রোহিঙ্গা শিশু নিখোঁজ রয়েছে।

ইত্তেফাক/এপি