জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস স্থাপনের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবিত কেরানীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমদী মৌজায় অবশিষ্ট ১১.৪০ একর জমি আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বরাদ্দকৃত ২০০ একর জমিই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হস্তান্তর করা হল।
মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা এ হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
এই অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম উপস্থিতিতে জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. আ. হালিম ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট অবশিষ্ট ১১.৪০ একর জমির দখল হস্তান্তর করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মোঃ শেখ গিয়াস উদ্দিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মোস্তফা হাসান, প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, পিআরআইপি পরিচালক, প্রধান প্রকৌশলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সক্রিয় ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিক প্রতিনিধিবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে, গতকাল ২ জুন (মঙ্গলবার) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন: "ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের" অবশিষ্ট ১১.৪০ একর ভূমির দখল বিশ্ববিদ্যালয় কে হস্তান্তর করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা-২ থেকে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. আ. হালিম স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে একনেক সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২০০ একর জমির নতুন ক্যাম্পাস অনুমোদিত হয়। ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ঢাকা জেলা প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ১৮৮.৬০ একর জমি বুঝিয়ে দেয়। অবশিষ্ট ১১.৪০ একর জমির হস্তান্তর বাকি থাকায় দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পূর্ণাঙ্গভাবে এগোতে বাঁধার সৃষ্টি হয়েছিল। আজকের এই হস্তান্তরের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার প্রস্তাবিত ২০০ একর জমি পূর্ণাঙ্গভাবে লাভ করল।
পূর্ণাঙ্গ ২০০ একর বুঝে পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হুমায়রা আবেদীন বলেন, 'আজ আমরা আমাদের পুনাঙ্গ দখল বুঝে পেলাম,আমরা আশা রাখি সেনাবাহিনীর মাধ্যমে আমাদের প্রাথমিক প্রকল্প শেষ করে অতি তাড়াতাড়ি মেগা প্রকল্পের কাজও শুরু হোক।'
হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম রিফাত বলেন, 'দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আমদের প্রাণের দাবি তা বাস্তবায়ন দ্রুত করা হোক। যদিও আমরা পাবো না, আমাদের আগামী প্রজন্ম যেন পুরাণ ঢাকার জীর্ণ পরিবেশ থেকে মুক্তি পায় এবং সুন্দর একটা পরিবেশ পায় পড়াশোনার জন্য।'