বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

১৭ বছরেও শেষ হয়নি কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন নির্মাণের কাজ

আপডেট : ০৪ জুন ২০২৫, ১৯:৩৬

কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ ১৭ বছরেও শেষ না হওয়ায় ভবন নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

বুধবার (৪ জুন) সকাল ১১টায় নির্মাণাধীন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে চিকিৎসক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করে। 

এসময় বক্তারা বলেন, আগামী ৩০ শে জুনের মধ্যে কাউখালী হাসপাতালের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজের কার্যক্রম শুরু না হলে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে এলাকাবাসী।

জানা যায়, ২০০৮ সালে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের লক্ষ্যে সাড়ে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। ২০০৮ সালের ২৫আগস্ট নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ‘মেসার্স নূরই এন্টারপ্রাইজ’ নামের বরিশালের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ওই কার্যাদেশের ১৮ মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদার ২০ শতাংশ কাজ করে তা ফেলে রাখেন। নির্দিষ্ট সময় কাজ শেষ না করায় ২০১৪ সালের ২৫ জুন নূরই এন্টারপ্রাইজের দরপত্রের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। পরে ২০২৪ সালের ২১শে এপ্রিল দুদক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তিন প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মালিকের নামে মামলা করেন।

এরপর ২০২২ সালের ২৪ জুলাই ‘মেসার্স কোহিনূর এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২৫ কোটি ১১ লাখ টাকার কার্যাদেশ পায়। এক বছরের মধ্যে ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ছিল।

২০২৩ সালের ৩১ মে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী সরেজমিনে দেখতে পান, মাত্র ১৬ শতাংশ কাজ হয়েছে। ওই বছরের ১ জুন তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কার্যাদেশ বাতিলের সুপারিশ করেন। 

এর আগে, ২০২৩ সালে ২০ ডিসেম্বর নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে আসেন তৎকালীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের(এইচইডি) প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সরোয়ার হোসেন চৌধুরী। তিনি সরজমিনে কাজ পরিদর্শন করে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এরপর মেসার্স কোহিনূর এন্টারপ্রাইজের কার্যাদেশ বাতিল করে নতুন করে দরপত্র আহ্বানের উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ বাতিলের আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। ফলে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা যাচ্ছে না।

ইত্তেফাক/এএইচপি