শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অচলাবস্থা কাটেনি ৯ দিনেও

  • ১ হাজারের মতো অপারেশনের শিডিউল বিপর্যয় 
  • জুলাই আন্দোলনে আহত ৩০ জনকে ছাড়পত্র দেওয়ার পরামর্শ মেডিক্যাল বোর্ডের
আপডেট : ০৫ জুন ২০২৫, ০২:০০

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অচলাবস্থা গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৯ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গতকাল শুধু জরুরি বিভাগ চালু হলেও বহির্বিভাগ এবং অপারেশন বন্ধ রয়েছে।

এদিকে গতকাল মেডিক্যাল বোর্ড চিকিৎসাধীন জুলাই আহত ৩০ জনকে দেখে তাদের ছাড়পত্র দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে আগত রোগীরা বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় বিনা চিকিৎসায় ফিরে গেছেন। গত ৯ দিনে শিডিউল প্রাপ্ত ১ হাজার রোগীর অপারেশন হয়নি।

সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত বিশেষায়িত চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ উন্নত ব্যবস্থা রয়েছে। রাজধানী ও আশপাশের এলাকা ছাড়াও সারা দেশ থেকে প্রতিদিন তিন সহস্রাধিক চক্ষু রোগী চিকিৎসার জন্য আসে। হাসপাতালটি বন্ধ থাকায় আগত রোগীরা চরম দুর্ভোগের শিকার।

এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড গতকাল আগারগাঁও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পরিদর্শনে যান। জুলাই আন্দোলনে আহত চিকিৎসাধীন ৫৪ জনের চিকিৎসা বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন। হাসপাতালে চিকিৎসক কর্তৃক দেওয়া তাদের ব্যবস্থাপত্র যাচাই করেন। বর্তমানে তাদের চোখের অবস্থা পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যগণ। ৩০ জনকে ছাড়পত্র প্রদান করার পরামর্শ দেয় মেডিক্যাল বোর্ড। পরবর্তী সময় কোনো  সমস্যা হলে তাদের সিএমএইচ, চক্ষু বিভাগ, ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগে যোগাযোগের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে বলে চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালের এক জন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

অন্যদিকে জুলাই আন্দোলনে চিকিৎসাধীন অন্য ২৪ জনের মধ্যে ২০ জন মেডিক্যাল বোর্ডে অনুপস্থিত ছিলেন। এ জন্য গতকাল মেডিক্যাল বোর্ড ২৪ জনের ব্যাপারে কোনো মতামত দেয়নি। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, ‘মেডিক্যাল বোর্ড জুলাই আন্দোলনে আহত চিকিৎসাধীন ৫৪ জনের অবস্থা যাচাই-বাছাই করে ৩০ জনের ছাড়পত্র প্রদানের পরামর্শ দিয়েছে। তাদের ছাড়পত্র প্রস্তুত রয়েছে।’

 

ইত্তেফাক/এমএএম