ইসরায়েলের দিকে ছোড়া সব ইরানি ড্রোন সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। শুক্রবার (১৩ জুন) বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের হোম ফ্রন্ট কমান্ড, জনগণকে জানিয়েছে এখন আর কারোর আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে অবস্থান করার প্রয়োজন নেই। তবে একইসঙ্গে সকলকে সতর্ক ও সজাগ থাকার কথাও বলা হয়েছে।
এর আগে আইডিএফ জানায়, ইরান ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ১০০টি ড্রোন ছুড়েছে।
শুক্রবার ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাকে মূল লক্ষ্যবস্তু করে দেশটিতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ইফি ডেফ্রিন শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইরানে ১০০টির বেশি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে ২০০টির বেশি যুদ্ধবিমান।
বিবিসি ও আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়লের হামলায় ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে নিহত হয়েছেন, দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি। খতম-আল আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টারের কমান্ডার ঘোলামালি রশিদও নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া ইসরায়েলের অতর্কিত হামলায় ইরানের ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। তাদের একজন হলেন, ফেরেয়দুন আব্বাসি। আব্বাসি ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা, এইওআই-এর সাবেক প্রধান। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা দায়িত্বে আছে এইওআই।
ইসরায়েলের হামলায় নিহত অপর বিজ্ঞানীর নাম মোহাম্মদ মেহেদী তেহরানচি। তিনি তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি। তবে বাকি চারজন নিহত বিজ্ঞানীর নাম এখন পর্যন্ত জানায়নি দেশটি।
ইরান ইন্টারন্যাশনাল বলছে, ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলী খামেনির শীর্ষ উপদেষ্টা শামখানি নিহত হয়েছেন। তার নিজ বাসভবনে হামলা চালায় ইসরায়েল। তবে খামেনি অক্ষত আছেন বলে নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে।