দীর্ঘদিন পর ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেরায় যেমন ছিল দর্শকের উচ্ছ্বাস, তেমনি ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অব্যবস্থাপনার নানা অভিযোগ। তার মধ্যে একটি ছিল ৪ জুন ভুটান ও ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে মিডিয়া অ্যাক্রিডিটেশন বরাদ্দে অনিয়ম, পক্ষপাতিত্ব এবং বাণিজ্যের অভিযোগ।
ম্যাচ চলাকালেই এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন গণমাধ্যমকর্মীরা, বিষয়টি অবগত রয়েছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালও। এ নিয়ে বেশ বিব্রতও তিনি। সম্প্রতি এ নিয়ে বাফুফে সভাপতি বলেছেন, 'আমার কাছে অ্যাক্রিডিটেশন নিয়ে দুটি অভিযোগ এসেছে। আমরা খতিয়ে দেখছি এখানে কী কী অনিয়ম হয়েছে। তদন্তের ফলাফল আমরা গণমাধ্যমকে জানাবো।'
অভিযোগ রয়েছে, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ১০ জুনের ম্যাচে মিডিয়াবক্সে খেলোয়াড়দের তালিকাও সরবরাহ করেনি বাফুফে মিডিয়া বিভাগ। অনেক সিনিয়র ও প্রতিষ্ঠিত সংবাদকর্মী অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পাননি, তবে অখ্যাত কিংবা অচেনা অনেকেই কার্ড পেয়েছেন। এমনকি ফেসবুকের কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ইউটিউবার ও ব্লগারদেরও দেওয়া হয়েছে কার্ড, যার ফলে প্রশ্ন উঠেছে গণমাধ্যমকর্মী বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে। কারো কারো নাম তালিকায় থাকলেও তারা হাতে কার্ড পাননি, ফলে অনেককে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে।
এছাড়া প্রেসবক্সে প্রবেশ ও কাজের পরিবেশ নিয়েও রয়েছে সাংবাদিকদের অভিযোগ। স্টেডিয়ামের তৃতীয় তলায় প্রেসবক্সে উঠতে থাকা লিফট সাংবাদিকদের ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়। নিচে টাঙানো একটি নোটিশে লেখা ছিল, 'লিফট ব্যবহার করবেন ভিআইপিরা, সাংবাদিকরা ব্যবহার করবেন সিঁড়ি।'
লিফটের দায়িত্বে থাকা একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচরণও করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি জানার পর দুঃখ প্রকাশ করে বাফুফে সভাপতি বলেন, 'আমরা গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে চাই। নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং ও ফেসবুক আপডেটের মাধ্যমে তথ্য দিতে চাচ্ছি। ভবিষ্যতে যেন এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না হয়, আমরা সে চেষ্টা করবো।'