মাদারীপুরের কালকিনিতে প্রতিবেশীর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে গিয়ে নিখোঁজ হয় তৃতীয় শ্রেণির মাদরাসাছাত্রী নাছিমা আক্তার (৮)। পরে থানায় জিডি করে ভুক্তভোগী পরিবার। তবে তিন দিন পার হলেও শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার কালকিনি উপজেলার কাশিমপুর গ্রামে।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৪ জুন) রাতে একটু আনন্দ উপভোগ করতে মা ময়না বেগমের সঙ্গে প্রতিবেশী হিলু বেপারীর ছেলে শিপন বেপারীর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে আসে শিশু নাসিমা। এসময় শিশুটি বান্ধবীদের সঙ্গে নেচে গেয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটায়। একপর্যায়ে পাশে নানী আয়মুন নেছার ঘরে ঘুমাতে বলে তাকে রেখেই রাত ১১টার দিকে বাড়িতে চলে যায় মা। এরপরই নিখোঁজ হয় নাসিমা। সন্ধান না পেয়ে দিশেহারা হয়ে যায় পরিবার। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে স্বজনরা। সন্দেহজনক জায়গা ও আশপাশের পুকুর-ডোবায় কয়েক দফায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। পরে খোঁজ না পেয়ে কালকিনি থামায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু তিন দিন পার হয়ে গেলেও কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না শিশুটির। এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
প্রতিবেশি মো. নিজামউদ্দিন বলেন, আশপাশের পুকুর-ডোবা ও বাড়িঘর তল্লাশি চালানো হয়েছে। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি। থানায় জিডিও করা হয়েছে। পুলিশ দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা করি। নিখোঁজ মেয়েটির সন্ধান আমরা চাই।
নাছিমার খালা সাবিনা বেগম বলেন, গায়ের হলুদের অনুষ্ঠান থেকে আমার ভাগিনিকে কে বা কারা নিয়ে গেছে কিংবা কেউ ষড়যন্ত্র করছে মেরে ফেলেছে। আমরা এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনের দাবি জানাচ্ছি।
নাছিমার নানী তাসলিমা বেগম বলেন, আমরা নাতনি সুস্থ্যভাবে আমাদের বুকে ফিরে আসুক এটাই চাই। আর যারা নিয়ে গেছে তাদের বিচারও চাই।
মাদারীপুরের কালকিনি থানার উপরিদর্শক (এসআই) পল্বব কুমার সরকার জানান, গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়িয়ে শিশুটিকে উদ্ধারে কার্যক্রম চলমান আছে। এর আগে জেলা ও থানার পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছলেন। পরিবার থেকে কাউকে কোনো সন্দেহও করছে না। বিষয়টি পুলিশ গভীরভাবে তদন্ত করছে।