লন্ডন থেকে দেশে ফিরে মায়ের নামে বরাদ্দকৃত বাড়িতেই উঠবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ১৯৮১ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তারেক রহমানের মা বিএনপি চেয়ারপারসনে ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ করা হয় গুলশান ২ এর ১৯৬ নম্বর বাড়িটি।
গত ৪ জুন বাড়ির নামজারি করে খালেদা জিয়ার হাতে কাগজ তুলে দেয় সরকার। আর লন্ডন থেকে দেশে ফিরে সপরিবারে সেই বাড়িতেই ওঠার কথা রয়েছে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বেগম জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের।
এরইমধ্যে বসবাসের উপযোগী করে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। জানা গেছে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরই বিএনপির এ নেতার দেশে ফেরার আশা করছেন দলটির নেতারা।
সবুজে ঘেরা ছিমছাম একতলা দালান বাড়ি। নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে ওঠা সাদা রঙ করা বাড়িটি কারও চোখে না পড়লেও সীমানা ঘেষে এতদিন ছায়া দিয়েছে মেহেগুনি গাছগুলো। নয়নাভিরাম বাড়িটির ভেতরেও রয়েছে বিভিন্ন গাছও।
দেশে ফিরেই গুলশান-২ এর ১৯৬ নম্বরের এ বাড়িতে ওঠার কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের। মা বেগম খালেদা জিয়ার নামে ১৯৮১ সালে তৎকালীন সরকার দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত বাড়িটি বরাদ্দ দেয়। চলতি মাসের ৪ তারিখ নামজারির কাগজ বেগম জিয়ার হাতে তুলে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিরা।
বেগম জিয়ার ভাড়া বাসা ফিরোজার উত্তর দিকের লাগোয়া বাড়িটি মূলত তার নামে বরাদ্দ করা ছিল আগে থেকেই। তিনটি বেড, ড্রয়িং, ডাইনিং, লিভিং রুম, সুইমিংপুল ও বাগান রয়েছে বাড়ির ভেতরে। নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছেন ১০ জন পুলিশ সদস্য। বসবাসের উপযোগী করতে গত ৬ মাস ধরে সংস্কার করা হচ্ছে বাড়িটি। লন্ডনে ফিরে যাওয়ার আগে বাড়িটি পরিদর্শন করেছেন তারেকের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানও।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলেই লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান।
জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর বেগম জিয়ার নামে ক্যান্টনমেন্টের মঈনুল রোডে আরও একটি বাড়ি ১৯৮২ সালে বরাদ্দ দিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। ২০১০ সালে আদালতের মাধ্যমে সেই বাড়ি থেকে প্রথমে আইনি নোটিশের পরে উচ্ছেদ করা হয় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। এরপর কিছুদিন ভাইয়ের বাসায় থেকে পরে ২০১২ সালের ২১ এপ্রিল ভাড়া বাসা ফিরোজায় ওঠেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।