রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

সাগরে বৈরী আবহাওয়ায় এলএনজি সরবরাহ বন্ধ, গ্যাসের চাপ কমার শঙ্কা

আপডেট : ১৯ জুন ২০২৫, ০১:৩০

দেশের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট চলছে। এরই মাঝে নতুন করে দুঃসংবাদ দিয়েছে পেট্রোবাংলা। সাগরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের মহেশখালীতে অবস্থিত টার্মিনাল থেকে এলএনজি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এতে চট্টগ্রাম, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ তিতাস অধীভুক্ত এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকতে পারে।

বুধবার (১৮ জুন) সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে পেট্রোবাংলার উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তারিকুল ইসলাম খান এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে অবস্থিত এলএনজি টার্মিনাল থেকে মঙ্গল ও বুধবার এলএনজি কার্গো নোঙর করতে পারছে না। এ কারণে জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ ব্যাপকভাবে কমে গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এলএনজি সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন অধিভুক্ত এলাকায় গ্যাসের কম চাপ বিরাজ করছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নোঙর করা শুরু হবে।

জনসাধারণের এ সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, দেশে দৈনিক অন্তত চার হাজার মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে ২ হাজার ৮১৬ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে বিদ্যুতে ২ হাজার ৪২০ মিলিয়ন ঘনফুটের জায়গায় ১ হাজার ১৯ ঘনফুট, সার কারখানায় ৩১৯ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার মধ্যে ১১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। বাকি গ্যাস দিয়ে শিল্প, সিএনজি, ক্যাপটিভ পাওয়ার, বাসাবাড়ি, বাণিজ্যিক এবং চা কারখানার চাহিদা মেটানো হচ্ছে।

রাজধানী ঢাকা এবং এর আশপাশের এলাকায় দৈনিক অন্তত ২ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। কিন্তু সেখানে সরবরাহ করা হচ্ছে প্রতিদিন ১৫৫৩ মিলিয়ন ঘনফুট।

তিতাস সূত্র বলছে, এর আগে যখন তারা দৈনিক ১৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ পেয়েছে, তখন পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু ইদানীং তাদের সরবরাহ আরও কমানো হয়েছে। এই কম সরবরাহের জন্য তারা সংকটে পড়ছে।

ইত্তেফাক/এমএএম