শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

মেধাহীন করে জাতিকে শাসন করতেই মেধাপাচার: সালাহউদ্দিন আহমদ

আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, ১৬:০০

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মেধাহীন করে জাতিকে শাসন করার প্রবণতা থেকেই দেশে মেধাপাচারের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২২ জুন) রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টটিউটে অর্পণ আলোক সংঘের আয়োজনে ‘শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন’ শীর্ষক তারুণ্যের রাষ্ট্র সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষা ও গবেষণায় কোনো অবহেলা করা হবে না। দেশে উন্নত শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হলেই বন্ধ হবে মেধাপাচার। আমারা শিক্ষাঙ্গনকে এমনভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে শিক্ষা ও গবেষণা দুটোই এগিয়ে যাবে, কোনো বৈষম্য থাকবে না। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ছাত্রসংগঠনগুলোকে পরিবেশ সৃষ্টিতে সহযোগিতা করতে হবে।

মেধাবীরা বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে আবার দেশে ফিরে আসবেন বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, মনে রাখতে হবে, রাজনীতিবিদেরা যেমন জাতি গঠনে দায়বদ্ধ, তেমনি শিক্ষকেরাও। তবে সহযোগিতা নিতে হবে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রসংগঠনগুলোর কাছ থেকে। এই তিন ফ্যাক্টর মিলিয়ে রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব হবে। মেধা পাচার কমে আসবে। মেধাবীরা দেশে থাকার পরিবেশ পাবেন। দেশে উন্নত মানের গবেষণার পরিবেশ পেলে মেধাবীরা বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে আবার দেশে ফিরে আসবেন।

সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, দেশ থেকে মেধাবীরা বাইরে গেলে আর ফিরে আসেন না। কারণ, গত কয়েক বছরে এমন পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, যাতে মেধাবীরা আর দেশে ফিরে না আসেন। কিন্তু চীন ও ভারতের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মেধাবীরা উন্নত দেশে গিয়ে জ্ঞান নিয়ে নিজ নিজ দেশকে উন্নত করছেন। প্রযুক্তিতে তারা বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশে পরিণত হচ্ছে। তারা বিদেশে থেকে যাননি। কিন্তু এখানে সেটা হচ্ছে না।

বাংলাদেশে মাতৃভাষায় মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে বলে মত দেন সালাহ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, এখানে মাতৃভাষায় মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। কারণ, শিশু মায়ের কাছ থেকে যে ভাষা শেখে, সেটি ব্যাকরণসহ শেখে না। বিদেশি ভাষা অবশ্যই শিখতে হবে। কিন্তু সেই বিদেশি ভাষা দিয়ে যদি ইতিহাস, গণিত, বিজ্ঞান পড়া হয়, তাহলে মেধার বিকাশটা ঠিকমতো হবে না। এটা মাথায় রাখতে হবে। শুধু ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় সৃষ্টি করলেই হবে না।

অর্পণ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বিথীকা বিনতে হোসাইনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর পাভেল, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন। সংলাপে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন-সম্পর্কিত প্রশ্ন, মতামত তুলে ধরেন। অতিথিরা সেসব প্রশ্নের উত্তর দেন। সেরা প্রশ্নকারীদের মধ্যে তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ইত্তেফাক/কেএইচ/এনটিএম