শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘পথ হারিয়ে বিএনপি গুজবের রাজনীতি করছে’

আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:৩৭

রাজনীতির সঠিক পথ হারিয়ে দিশেহারা বিএনপি এখন গুজবের রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, এই পরিবারে যারা রাজনীতি করছে তারা বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে চায়। রাজনীতির পথ হারিয়ে তারা কখনো পিঁয়াজ, কখনো লবণ এবং কখনো পরিবহন নিয়ে গুজবের রাজনীতি করছে। যে দল জনগণকে বিভ্রান্ত করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়, আর যাই হোক তারা দেশ ও দেশের মানুষের ভালো চায় না। 

শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারী বন্দর এলাকা পরির্দশনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকালে হেলিকপ্টারযোগে চিলমারী পৌঁছান নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী। সেখানে টেরেডেস হোমস ফাউন্ডেশনে জেলার দলীয় নেতাকর্মী ও সরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় ও চিলমারী বন্দরের ওপর একটি ভিডিও প্রদর্শনী করেন করা হয়। পরে সেখান থেকে প্রতিমন্ত্রী চিলমারী নদীবন্দর পরিদর্শনে যান। এরপর নৌ বন্দর রমনা ঘাট পরিদর্শনে যান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সেখানে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় বন্দরের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে একটি জটিলতা সহজে নিরসন করে দেন তিনি। 

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিলমারী বন্দর পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, ভুটান, নেপালের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নদীপথ। ইতিমধ্যে তারা এ বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ আলোচনা করেছে। ড্রেজিংসহ নানা কাজে আর্থিকভাবে সহযোগিতাও করছে ভারত। এ বন্দরের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের মানুষের সঙ্গে সারা দেশের নৌ যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। এতে চিলমারীসহ পুরো উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চিলমারী নদী বন্দরের বাজেট প্রস্তাব একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আশা করছি আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে প্রায় ৩শ’ কোটি টাকার অনুমোদন হয়ে গেলেই এখানে কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে। চিলমারী নদী বন্দরে মালামাল উঠানোর জন্য একটি বন্দর এবং যাত্রী উঠানামার জন্য আরেকটি আলাদা বন্দর হবে বলে জানান তিনি। 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের প্রটোকল চুক্তি রয়েছে এছাড়াও ভুটানের সঙ্গে একটি প্রটোকলের আলোচনা চলছে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চিলমারী নদী বন্দরে একটি কাস্টমস অফিসের জন্য এনবিআরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এই রুটটি একটি আন্তর্জাতিক রুট হিসেবে চালু হবে। আমরা আশা করছি এই রুটটি চালু হয়ে গেলে এই এলাকার অর্থনীতিতে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, নৌ ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ভোলানাথ দে, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর এম মাহবুব ইল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী মহিদুল ইসলাম, নৌ-নিরাপত্তা যুগ্ম পরিচালক সাইফুল ইসলাম, ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সাইদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক নিজাম উদ্দিন পাঠান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মন্ডল, চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকারী বীর বিক্রম, চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এডব্লিউএম রায়হান শাহ্ ও চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস সরকার প্রমুখ।

ইত্তেফাক/এএএম