এইডস কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। কিংবা এইডসে আক্রান্ত মানেই মৃত্যু নয়। সঠিক চিকিত্সায় রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ জীবনযাপন করতে পারে। এই রোগ কোনো পাপেরও ফল নয়। এই ভুল ধারণাগুলো সমাজ থেকে দূর করতে পারলে এইডস রোগীরা সমাজে বৈষম্যের শিকার হবেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলেছেন, এ জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা। গতকাল মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ‘এইচআইভি এইডস নিয়ে সমাজে কুসংস্কার এবং বৈষম্য নিরসনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ বিষয়ক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিবি এল এবং এএসপি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশিদ। আরো বক্তব্য রাখেন অভিনয় শিল্পী আজাদ আবুল কালাম, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ।
অনুষ্ঠানে এইচআইভি/এইডসের বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক চিত্র তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এইডস/এসটিডি সিনিয়র প্রোগ্রামের ম্যানেজার মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, চলতি বছরে করোনা মহামারির কারণে এইচআইভি এইডস টেস্টে কিছুটা ঘাটতি পড়েছে। চলতি বছর যে পরিমাণ টার্গেট ছিল, সে পরিমাণ টেস্ট আমরা করতে পারিনি কোভিড পরিস্থিতির কারণে। হাসপাতালগুলোতেও মোট রোগীর সংখ্যাও কমে এসেছিল। হাসপাতাল থেকেই এইচআইভি রোগী টেস্টিং সেন্টারে রেফার করা হয়ে থাকে টেস্ট করার জন্য।
ইত্তেফাক/আরআই