শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘দেশে সব অনিয়মে যুক্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থা’

আপডেট : ২২ আগস্ট ২০১৯, ১৯:৫৭

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, দেশের সব অনিয়মের সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পৃক্ততা আছে। আইনের রক্ষক হয়ে একটি অংশ ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কমিটির সুপারিশগুলোর কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার দাবিতে এই সম্মেলন করা হয়।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেকেই ভালো কাজও করছেন। দেশ-বিদেশে পুরস্কৃতও হচ্ছেন। কিন্তু তাদের একটি অংশ ভক্ষক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন এটি রোধ করা না গেলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নাম পরিবর্তন করে আইন লঙ্ঘনকারী রাখতে হবে। আমরা এই পরিস্থিতি দেখতে চাই না। 

তিনি আরো বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে অপরাধ সংঘটিত হলে বিভাগীয় তদন্ত করে তাদেরকে ক্লোজ বা বদলি করা হয়। এটি কোনো সমাধান নয়। তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। এটি করা গেলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে এবং অন্যরাও অপরাধে যুক্ত হবে না। এসবের প্রতিকারের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন।

সাংবাদিক সম্মেলনে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী সদস্য আইনজীবী জেড আই খান পান্নার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’র নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, নাগরিক উদ্যোগ’র নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন, এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামছুল হুদা, হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ’র সমন্বয়ক তামান্না হক রিতি, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং প্রমুখ।

আরো পড়ুন: ২১ আগস্টের দায় বিএনপির হলে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দায় আওয়ামী লীগের: রিজভী

জেড আই খান পান্না বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাষ্ট্রের দ্বারা মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়। মানুষ গুম হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বলার ক্ষমতা নেই। এমনকি মানবাধিকারকর্মীরাও আজ সুরক্ষিত নয়।

হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ৯ আগস্ট জাতিসংঘের কমিটির চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণে সরকারের কাছে ৭৭টি সুপারিশ করা হয়েছে। এই চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণে ৩টি বিষয়কে অগ্রাধিকার ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এক বছর পর সরকারকে প্রতিবেদনের মাধ্যমে অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরতে বলা হয়েছে। অগ্রাধিকারের বিষয় তিনটি হলো- হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু নিবারণে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ, আটক ব্যক্তিদের অভিযোগ তদন্তের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং যেসব এনজিও নির্যাতনবিরোধী কমিটিকে সহযোগিতা করেছে তাদের সুরক্ষা দেওয়া।

ইত্তেফাক/এমআই