বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামীদের আদালতে তোলা হলো

আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২০, ১৯:৫৪

মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার প্রধান আসামী লিয়াকতসহ অপর ৮ আসামীকেও আদালতে আনা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের হাসপাতালে আসার পর গ্রেফতার হওয়া টেকনাফের প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকেও আনা হচ্ছে কক্সবাজার আদালতে। এনিয়ে কক্সবাজার আদালত চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার উপস্থিতি রয়েছে চোখে পড়ার মতো। সিনহা হত্যার আসামীদের আদালতে আনার খবরে অসংখ্য মানুষ ভিড় করেছে আদালত চত্বরে।

বিকাল সোয়া ৪টার দিকে কয়েকটি গাড়িতে করে কঠোর নিরাপত্তায় তাদের আদালতে আনা হয়। ওসি প্রদীপ আসা পর্যন্ত তাদের আদালত হাজতখানায় রাখা হয়েছে। পুরো আদালত এলাকা পুলিশ ঘিরে রাখায় তাদের রাখার স্থান কিংবা গাড়ি থেকে নামানোর কোন ছবি পর্যন্ত তুলতে পারেনি গণমাধ্যমকর্মীরা।  

বৃহস্পতিবার দুপুরের পর মেজর সিনহা হত্যা মামলা দ্বিতীয় অভিযুক্ত টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার হাসপাতালে চিকিৎসার কথা বলে গাড়ি নিয়ে আসলে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে নিয়ে বেলা ২টার দিকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে সিএমপি সদস্যরা।

কক্সবাজারে আদালতে আনা ওসি প্রদীপের সাথে অভিযুক্ত অন্য আসামীরা হলেন, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত, উপ পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।

র‌্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেছেন, চট্টগ্রাম থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে বলে আমরা শুনেছি। যেহেতু তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত সংস্থা আমরা (র‌্যাব), তাই ধারণা করছি তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওসি প্রদীপকে কক্সবাজার নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে বুধবার রাত ১০টায় টেকনাফ থানায় আদালতের নির্দেশে মেজর সিনহার বোনের করা হত্যা মামলাটি নথিভুক্ত হয়। ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩, টেকনাফের বিজ্ঞ বিচারক তামান্না ফারহার আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া। পরে আদালত সেটি টেকনাফ থানাকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। এছাড়া মামলার তদন্তভার দেয়া হয় র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ককে।

মেজর সিনহার বোনের দায়ের করা মামলায় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর লিয়াকতকে প্রধান আসামি ও টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে দ্বিতীয় আসামি করে আরও ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।

উল্লেখ্য, ৩১ আগস্ট (শুক্রবার) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। 

ইত্তেফাক/এসআই