দেশে চলমান করোনা সঙ্কটের মধ্যেও কন্টেইনার ও পণ্যের হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে সাফলতা দেখিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। বিশ্বব্যাপী স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতির বিপরীতে একদিনের জন্যও বন্ধ থাকেনি চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকাণ্ড। দেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ শিল্প কল-কারখানা, অফিস-আদালত যেখানে লকডাউনের আওতায় বন্ধ থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দর ছিল এর ব্যতিক্রম। দেশের অর্থনীতির অন্যতম লাইফ লাইন খ্যাত চট্টগ্রাম বন্দর সচল থাকায় আমদানি রপ্তানির স্থবির অবস্থার অনেকটা রক্ষা পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
জানা গেছে, দেশের আমদানির শতকরা ৮২ ভাগ এবং রপ্তানির শতকরা ৯২ ভাগ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে হয়ে থাকে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর গত ২৬ মার্চ থেকে ২০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটিকালীন সময়ের মধ্যে তিন লাখ ১৯ হাজার ৬৭ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। একই সময়ের মধ্যে সাধারণ পণ্য হ্যান্ডলিং করেছে এক কোটি ৩৭ লাখ ২৮ হাজার ৬৪২ টন। খাদ্য দ্রব্য হ্যান্ডলিং করেছে ২২ লাখ ৯৮ হাজার ৪২৪ টন। এর মধ্যে পেঁয়াজ ৮৭ হাজার ৩৯৭ টন, আদা আট হাজার ২৭৫ টন এবং রসুন ছয় হাজার ৬৫০ টন। এ ছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, ডাল, খেজুর হ্যান্ডলিং করা হয়েছে ৮৬ হাজার ৯১২ টন।
আরও পড়ুন: থানার মধ্যে জুয়ার আসর, দুই পুলিশ প্রত্যাহার
চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) এনামুল করিম জানান, করোনা বন্ধের মধ্যেও চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম সচল থাকায় আমদানি করা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূলা বৃদ্ধিসহ বাজার অস্থিতিশীল হতে পারেনি। বিশেষ করে মসলা জাতীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। তাছাড়া বন্দরকে সার্বক্ষণিক সচল রাখতে মন্ত্রণালয়সহ চট্টগ্রাম বন্দরের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ প্রচেষ্টা চালিয়েছেন বলে তিনি জানান।
ইত্তেফাক/এসি