শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ফিলিপাইনি ব্যাংক ও ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে ফের বাংলাদেশের মামলা 

আপডেট : ০১ জুন ২০২০, ১৭:১২

চার বছর আগে খোয়া যাওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার উদ্ধারে আবারো মামলা করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ফিলিপাইনের ১৭টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ।

১ জুন সোমবার এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

ম্যানিলার সোলেয়ার রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনো অপারেটর ব্লুমবেরি রিসোর্টস কর্পোরেশন সোমবার ফিলিপাইন স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়েছে, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান ব্লুমবেরি রিসোর্টস ও হোটেল ইনকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এছাড়া আরো ১৬ জনের বিরুদ্ধে নিউইয়র্কের একটি আদালতে দেওয়ানি মামলা করা হয়েছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অর্থ রূপান্তর, চুরি ও হাতিয়ে নেওয়া এবং এ জাতীয় সব কাজে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া প্রতারণা, অনুপ্রবেশ, অন্যায়ভাবে অর্থ সংগ্রহেরও অভিযোগ করা হয়েছে।

ব্লুমবেরির বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রিজ্যাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। 

তবে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো নোটিশ পাঠানো হয়নি। আমরা কঠোরভাবে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়বো।’

প্রতিবেদন আরো বলা হয়, এর আগে মার্চে আরসিবিসি ও স্থানীয় ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে করা বাংলাদেশের একটি মামলা খারিজ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের জেলা আদালত। 

এছাড়া ফিলিপাইনের ইস্টার্ন হাওয়াই লিসিউর কোম্পানি, সেঞ্চুরিটেক্স ট্রেডিং, রেমিট্যান্স সংস্থা ফিলরাম সার্ভিস কর্পোরেশন এবং তাদের কর্মকর্তাদের এই অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়। তবে ঐ মামলায় আপিল করেছে বাংলাদেশ।

২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা। নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভের সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশ করে এই কাণ্ড ঘটায় তারা।

এরপর এসব অর্থ স্থানান্তরিত হয় ফিলিপাইনের আরসিবিসির অধীনে বেশ কয়েকটি ভুয়া একাউন্টে। পরে এসব একাউন্ট থেকে অর্থ উঠিয়ে ফিলিপাইনি মুদ্রা পেসোতে রূপান্তর করা হয়।

সবশেষে ব্লুমবেরি ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন ক্যাসিনো, জুয়া খেলার টেবিলে চলে যায় এসব অর্থ। সেখান থেকে এই অর্থের হদিস আর মেলেনি।  

মোট অর্থের মাত্র ১৭ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এটি একটি সবচেয়ে বড় অর্থ পাচারের ঘটনা। যাতে ফিলিপাইন জড়িত। 

ইত্তেফাক/জেডএইচ