বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বাংলাদেশে মানব পাচার রোধে আইওএম ও কোইকার চুক্তি

আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২০, ১৫:১৫

মানব-পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশে একটি প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বাংলাদেশ এবং কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা)।

৫ বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের আওতায় মানব-পাচার প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও দক্ষতা সৃষ্টিতে কাজ করবে এই দুই সংস্থা। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে প্রকল্পটি বা¯Íবায়ন করবে আইওএম। 

আইওএম-এর ঢাকা কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন আইওএম বাংলাদেশ-এর মিশন প্রধান ও বাংলাদেশ জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক নেটওয়ার্ক-এর সমন্বয়ক গিওরগি গিগাওরি এবং কোইকা বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ইয়ংহা ডো। 

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০১৯ সালে প্রায় ৭ লাখ অভিবাসী দেশের বাইরে গেছেন। যেসব অভিবাসীরা অবৈধ পথে দেশের বাইরে যাচ্ছে তারা পাচারকারীদের হাতে শোষণ ও নিপীড়নের ঝুঁকির মুখে পড়ে। সারাবিশ্বে বর্তমানে আধুনিক দাসত্বের শিকার আনুমানিক চার কোটির বেশি মানুষ এবং জোরপূর্বক শ্রমের সর্বোচ্চ বিস্তার এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিদ্যমান। 

আরো পড়ুন : করোনা: ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৬৯

একদিকে যেমন মানব-পাচারের শিকার ও ভুক্তোভোগীদের সংখ্যার প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই, অপরদিকে বাংলাদেশে মানব-পাচারের অভিযোগে প্রায় ৪,৭০০ মামলা বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে।

‘কোইকা-আইওএম কম্প্রিহেনসিভ প্রোগ্রাম টু কমব্যাট হিউম্যান ট্রাফিকিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই প্রকল্পটি তিনটি ক্ষেত্রে কাজ করবে, যেমন- পাচারকারীদের বিচার নিশ্চিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচার বিভাগের দক্ষতা বৃদ্ধি, মানবপাচারে ক্ষতিগ্রস্তদের টেকসই পুনঃএকত্রীকরণে সহায়তা প্রদান এবং ঢাকা, যশোর, সাতক্ষীরা এবং কক্সবাজারসহ সারাদেশে ১০ লাখ মানুষের মাঝে পাচারের ঝুঁকি এবং নিরাপদ অভিবাসনের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি। বাসস

 

ইত্তেফাক/ইউবি