মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘যখনই সম্ভব আটকে পড়া নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা হবে’

আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২০, ২০:০৫

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, যখনই পরিস্থিতি তৈরি হবে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আটকা পড়া নাগরিকদের ফিরিয়ে আনবে। আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিরা আটকা পড়ে আছেন। খুব শিগগিররই তাদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে, যারা পাশের দেশ ভারতে আটকা পড়েছেন তাদের এখনই ফেরত আনা সম্ভব না। কারণ সেখানে লকডাউন চলছে, ১৪ এপ্রিলের পরে সেখানে লকডাউন শেষ হবে।

এর আগে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছিল যে ২,৫০০ বাংলাদেশি নাগরিক বর্তমানে ভারতে আটকা পড়েছে।

সংকট মোকাবেলায় বিদেশী মিশনগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ কাজে তাদের যেকোনো ধরনের সাহায্য সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে।

আজ বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বৈঠক নিয়ে মোমেন বলেন, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে বাংলাদেশ মিশন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে সহায়তা দেয়ার জন্য ঢাকার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিভিন্ন দেশকে চিঠি পাঠাবে সরকার।

চিঠিগুলোতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী যৌথভাবে স্বাক্ষর করবেন।
মোমেন বলেন, তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দুর্ভোগ হ্রাস করার জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, কিছু দেশ আমাদের দেশে কোভিড-১৯ এর মোকাবেলার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ও সরঞ্জামাদি পাঠিয়ে সহযোগিতা করতে চায় বৈঠকে সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

এর আগে রবিবার অপর এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মালদ্বীপের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের চার থেকে পাঁচটি দেশ জানিয়েছে পৃথিবীব্যাপী কোভিড-১৯ এর কারণে সেখানে অনেক বাংলাদেশী কর্মী বেকার হয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, এই দেশগুলো মূলত তাদের ভাগ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বাংলাদেশি কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
বাসস

ইত্তেফাক/কেকে