বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বেতন বৈষম্য নিরসন দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি

আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২০, ১৩:৪৬

বেতন বৈষম্য নিরসন ও নিয়োগ বিধি সংশোধনের দাবিতে সোমবার ৪র্থ দিনের মতো কর্ম বিরতি পালন করছেন সারাদেশের স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা। এই ধারাবাহিক কর্মবিরতির অংশ হিসাবে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে, বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের ব্যানারেও কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।

এ সময় সংগঠনের উপজেলা সভাপতি তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক পলাশী বেগম, কেন্দ্রীয় দাবি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য স্বাস্থ্য সহকারী রোকসানা খন্দকার, মো. এনায়েত হোসেন, সেলিম মোল্যা ও সজল সাহাসহ অনেকে।এদিন বক্তারা নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন ১১,১২,১৩ তম গ্রেডে উন্নিত করনের জোরালো দাবি জানান।

তাদের দাবিসমূহ নিম্নরূপ:
১.নিয়োগবিধি সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি বা সমমানের পরিবর্তে স্নাতক বা সমমানের রাখতে হবে।
২.ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন ১১,১২,ও ১৩ তম গ্রেড প্রদান।
৩.স্বাস্থ্য সহকারীদের পদে প্রবেশের পর প্রশিক্ষন শেষে টেকনিক্যাল বেতন ১১ তম গ্রেড প্রদান করতে হবে।

তারা বলেন, দীর্ঘ দিন যাবৎ তারা বেতন বৈষম্যর স্বীকার হয়ে আসছেন। বাংলাদেশ হেলথ্ এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি ও আহ্বায়ক শেখ রবিউল আলম খোকন গত ২০ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ২৬ নভেম্বর থেকে এ কর্ম বিরতির ঘোষণা দেন। ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর আমাদের প্রধানমন্ত্রী, মানবতার মা দেশ রত্ন শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন।২ জানুয়ারি ২০১৮ তৎকালীন স্বাস্থ্য মন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিয়ে দাবি বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেন এবং ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ইং- তারিখে বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিয়ে লিখিত চুক্তি স্বাক্ষর করেন কিন্তু আজও তার বাস্তবায়ন ঘটেনি। এছাড়া তারা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, উপসহকারী প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা, উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও সম্প্রতি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের সাথে তাদের বেতন বৈষম্যর কথা উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।তারা বলেন গাছের, মাছের সেবা দিয়ে, গরু, ছাগল, হাস, মুরগীর টিকা দিয়ে তারা আজ ১০ গ্রেডে আর আমরা সৃষ্টির সেরা জীব মানব শিশুর ১০ টি মারাত্বক রোগের বিরুদ্ধে টিকা দান করি।এছাড়া ও গর্ভবতী মা ও কিশোরীদের টিকা প্রদান, কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা দান। স্বাস্থ্য শিক্ষা, যক্ষা ও কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণ, করোনার স্যাম্পল কালেকশন, হোম কোয়ারেনন্টাইন নিশ্চিত করছি। 

ইত্তেফাক/কেকে