বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ইজতেমার সময় একদিন বাড়ল

আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৮:৪৫

টঙ্গীর তুরাগ তীরে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই রবিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে তাবলীগ জামাতের সা’দ অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমা পর্ব। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ইজতেমার আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

এ মোনাজাত আজ সোমবার সকালে হওয়ার কথা থাকলেও সা’দ অনুসারী মুরব্বিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল ঢাকায় স্বরাষ্ট্র ও ধর্মমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ইজতেমার সময় একদিন বাড়ানো হয় বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

এবারের প্রথম দুই দিন (১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি) ইজতেমা পরিচালনা করেন কাকরাইল মারকাজের মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ জুবায়েরের অনুসারীরা। শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তাদের পর্ব শেষ হয়। গতকাল রবিবার থেকে শুরু হয়েছে সা’দ অনুসারীদের ইজতেমা পর্ব। মঙ্গলবার সকালে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ৫ দিনের ৫৪তম এই বিশ্ব ইজতেমা।

আরও পড়ুন : প্রশ্ন ফাঁস রোধে পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনাধীন: শিক্ষামন্ত্রী

গতকাল বাদ ফজর তাবলীগের অন্যতম শীর্ষ মুরব্বি দিল্লির হযরত মাওলানা ইকবাল হাফিজের আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় ইজতেমার কার্যক্রম। বয়ান চলাকালে সকাল সাতটার দিকে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত শুরু হলে বয়ান স্থগিত করা হয়। পরে বাদ জোহর বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মারকাজের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা আব্দুল বারী। বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ। এছাড়া বাদ আছর মাওলানা মোশাররফ হোসেন ও বাদ মাগরিব দিল্লির মাওলানা শামীম আহমদ বয়ান করেন। বয়ান অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা আশরাফ আলী।

সকালে থেমে থেমে বৃষ্টির সাথে হালকা বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে দুর্ভোগে পড়েন ইজতেমায় যোগ দেওয়া মুসল্লিরা। বৃষ্টির কারণে ইজতেমা ময়দানের অভ্যন্তরে যাতায়াতের রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। মুসল্লিদের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয়।

বেলা ১০টার দিকে বৃষ্টি থেমে গেলে ইজতেমা কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে থাকে। সন্ধ্যা পর্যন্ত আবহাওয়া ছিল স্বাভাবিক। ইজতেমা মাঠের বিভিন্ন খিত্তায় মুসল্লির সংখ্যা গত দুই দিনের তুলনায় অনেকটা কম লক্ষ্য করা গেছে। বিদেশি নিবাসেও মুসল্লি সংখ্যা ছিল তুলনামূলক অনেক কম।

সকালে ইজতেমা মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, প্রথম পর্বের মুসল্লিদের ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কর্মীরা তা পরিষ্কার করছেন। ইজতেমাস্থলে লাগানো বেশ কিছু পানি সরবরাহের মোটর খুঁজে না পাওয়ায় এবং বৈদ্যুতিক তার, বাথরুম ও পানির লাইনের ফিটিংসের মালামাল না থাকায় দ্বিতীয় পর্বে আসা মুসল্লিরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। পরে বিষয়টি সিটি করপোরেশনের নজরে এলে তাত্ক্ষণিকভাবে ৩১টি নতুন পানির মোটর এনে তা দ্রুত সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান জানান, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তা, যানজট নিরসনসহ সার্বিক বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।

ইত্তেফাক/কেআই