শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ময়মনসিংহ অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’

আপডেট : ০৪ মে ২০১৯, ১৬:২৫

প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'ফণী' দেশের আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে বর্তমানে ময়মনসিংহের জামালপুর অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি পাবনা-টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় এবং সকাল ৯টার দিকে ফরিদপুর-ঢাকা অঞ্চলে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪৫ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে সর্বশেষ গভীর নিম্নচাপের রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং দেশের অনেক অঞ্চলে স্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রপাতসহ বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এই অঞ্চলগুলোতে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কি. মি. বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপের রূপ নেওয়ায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নেওয়া উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের নিজ নিজ বাড়িতে ফেরার জন্য বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:  সেনবাগে ফণীর তাণ্ডবে মাদ্রাসা ভবন বিধ্বস্ত

অমাবস্যা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আর্ধিক্যের কারণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি