শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

আজ স্বৈরাচার পতন দিবস

আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:৩১

আজ ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন দিবস। ১৯৯০ সালের এইদিনে গণ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন তত্কালীন শাসক এইচএম এরশাদ। এরমধ্য দিয়ে এরশাদের ৯ বছরের শাসনের অবসান হয়।

 

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতৃত্বোধীন জোটের টানা কর্মসূচির কারণে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন এরশাদ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দিবসটি পালন করে ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে। বিএনপি পালন করে ‘স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে। আর এরশাদের দল জাতীয় পার্টি (জাপা) দিবসটি পালন করে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে। জাপার নবনিযুক্ত মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা গতকাল এক বিবৃতিতে আজ ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ পালনের জন্য দলের জেলা ও উপজেলাসহ সর্বস্তরের কমিটিকে অনুরোধ করেছেন।

আরো পড়ুন: ওয়ানডেতে দাপট দেখাতে চান পেসাররা

দিবসটি উপলক্ষে গতকাল এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী সংগ্রামী দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নব্বই পরবর্তী দুই দশকে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের সত্য ও ন্যায় এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না।

 

দিনটি সামনে রেখে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণীতে বলেছে, শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পৃথক কর্মসূচি পালন করবে।

 

 

ইত্তেফাক/ইউবি