মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মন্ত্রিসভায় বিআইডব্লিউটিসি আইন-২০১৯ এর খসড়া অনুমোদন

আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:৪৯

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীর নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আইন-২০১৯ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই নীতিমালার খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন, 'এই আইনটি পাকিস্তান আমলে প্রণীত হয়। ১৯৭২ সালে এ সম্পর্কিত প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডার জারি হয় (বাংলাদেশ ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন অর্ডার-১৯৭২) এবং ১৯৭৬ সালে এবং ১৯৭৯ সালে এর ওপর দুটি সংশোধনী আনা হয় অর্ডিন্যান্স আকারে। যেহেতু এগুলো সামরিক আমলে জারিকৃত তাই নতুন আইনে এগুলোকে যুগোপযোগী করে বাংলায় প্রণয়ন করা হয়েছে।'

তিনি বলেন, '১৯৭২ সালের যে প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডার তারসঙ্গে প্রস্তাবিত আইনে খুব বেশি ব্যবধান নেই। কারণ এটি ক্রমান্বয়ে আপডেটেড হয়েই এ পর্যায়ে এসেছে।'

সচিব বলেন, 'আইনে যে পরিবর্তনগুলো আনা হয়েছে তা হচ্ছে- এই কর্পোরেশনের অনুমোদিত মূলধন আগে ছিল ৫ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন সম্পর্কে বলা হয়েছিল- সরকার থেকে সময় সময় যা জোগান দেওয়া হবে সেটিই পরিশোধিত মূলধন। যা বাড়তে বাড়তে ৪৫ কোটি টাকায় এসে ঠেকেছে।'

নতুন আইনে বলা হয়েছে কর্পোরেশনের অনুমোদিত মূলধন হবে ৫’শ কোটি টাকা আর পরিশোধিত মূলধনও সরকার জোগান দিয়ে একে ৫’শ কোটি টাকায় উন্নীত করবে।

পরিষদের গঠন- আগে একজন চেয়ারম্যান এবং ৪ জন সদস্য নিয়ে গঠিত ছিল। এখন প্রস্তাব করা হয়েছে একজন চেয়ারম্যান এবং ৪ জন পরিচালক এবং এর সাথে একজন খন্ডকালীন পরিচালক যুক্ত হবেন। যিনি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়য়ের যুগ্ম সচিব হবেন।

পরিষদের সভা, তারিখ এবং স্থান চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত হবে। আর সভায় চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে তিনি যাকে ক্ষমতা দেন সেরকম একজন সার্বক্ষণিক পরিচালক সভায় সভাপতিত্ব করবেন। আর সেই পরিচালকও যদি অনুপস্থিত থাকেন তাহলে সভায় উপস্থিত পরিচালকগণ কতৃর্ক মনোনীত একজন পরিচালক সভাপতিত্ব করবেন। কর্পোরেশনের কোন পাওনা থাকলে তা ১৯১৩ সালের পিডিআর’র অ্যাক্ট (পাবলিক ডিমান্ড রিকভারী অ্যাক্ট-১৯১৩) অনুযায়ী আদায় যোগ্য হবে।

আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভায় খসড়া এসএমই নীতিমালা অনুমোদন

গঠনতন্ত্র সম্পর্কে সচিব আরো জানান, চেয়ারম্যানসহ ৩ জন উপস্থিত থাকলে কোরাম হবে। বার্ষিক একটি প্রতিবেদন দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে, যেটি পরবর্তী অর্থবছর শেষ হওয়ার ৬ মাস আগেই সম্পন্ন করতে হবে। কর্পোরেশননের চেয়ারম্যান, কর্মকর্তা, কর্মচারিরা জনসেবক (পাবলিক সার্ভেন্ট) হিসেবে গণ্য হবেন। যেটি আগে ছিল না।

ইত্তেফাক/নূহু