বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

খালেদা জিয়াকে মেয়ের মতো দেখতেন নিয়াজি ------ অলি আহমদ

আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০১৯, ২২:০৬

স্বাধীনতাকামী মানুষের ওপর নির্বিচার হত্যা ও ধর্ষণ চালানো পাকিস্তানি সেনাদের হাতে বন্দি হওয়ার পর বেগম খালেদা জিয়া যে সম্মান পেয়েছিলেন, নিজের দেশের লোকদের কাছে তাও পাচ্ছেন না বলে খেদ প্রকাশ করেছেন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল অব.অলি আহমদ।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। অলি বলেন, বেগম জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা। কারণ তিনি পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি ছিলেন। পাকিস্তানি  সৈন্যরা অনেক কিছু করেছে। কিন্তু তাদের যে একটা কালচার, তাদের যে একটা স্ট্যান্ডার্ড সেটা তারা বিসর্জন দেয় নাই। বেগম জিয়াকে সেই সম্মান তারা (পাকিস্তান) দিয়েছিল। আজকে নিজের দেশের লোকদের কাছে সেই সম্মান তিনি পাচ্ছেন না। যাদেরকে আমরা গালি দেই, তারাও বেগম জিয়াকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছিল। অথচ যারা জাতির পিতার সন্তান হিসেবে দাবি করেন, তাদের কাছে মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কোনো সম্মান নাই।

পাকিস্তানিরা খালেদা জিয়াকে কীভাবে সম্মান দিয়েছিল তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কর্নেল অব. অলি আহমদ বলেন, আমি এখানে জনগণকে বলতে চাই যে, নিয়াজী সাহেব (আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী) এখানে ছিলেন। তিনি ছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রথম অধিনায়ক। প্রথম অধিনায়ক হলো পিতার মতো। সুতরাং ব্যাটালিয়নের অন্যান্য অফিসার হলো তার সন্তানের মতো, অফিসারদের স্ত্রীরা ছিল তার মেয়ের মতো।

খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের উদ্দেশে অলি বলেন, আমরা অনুরোধ করব, তার (খালেদা জিয়া) বয়স বিবেচনায়, তার অবদান বিবেচনায় নিয়ে, তার স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান বিবেচনায় নিয়ে বেগম জিয়াকে চিকিত্সার জন্য অবিলম্বে মুক্তি দান করবেন। মশা মারার ওষুধ আনতে দেরির সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশ থেকে প্রতিদিন প্লেন বিদেশে যাচ্ছে। একটা প্লেন ভাড়া করে ঐ ওষুধ আনা কোনো কঠিন কাজ নয়। আমি মন্ত্রিত্বে থাকলে ১০ ঘণ্টার মধ্যে যে কোনো দেশ থেকে ওষুধ নিয়ে আসতাম।

নতুন জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাগপার রাশেদ প্রধান, বিএনপির সারোয়ার হোসেন, জমিয়তে উলামা ইসলামের মুফতি মুনির হোসেন কাশেমী, জাতীয় দলের রফিকুল ইসলাম, এনডিপির মো. তাহের চৌধুরী, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, তমিজউদ্দিন ও কল্যাণ পার্টির শাহিদুর রহমান তামান্না সেখানে ছিলেন।