শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

আগামীর থিয়েটার

সমকালীন বাংলাদেশে ‘অ্যাম্পিউটেশন’ মঞ্চায়নের প্রাসঙ্গিকতা

আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:১৮

যে পিতা সন্তানের লাশ শনাক্ত করতে ভয় পায়
আমি তাকে ঘৃণা করি-
যে ভাই এখনও নির্লজ্জ স্বাভাবিক হয়ে আছে
আমি তাকে ঘৃণা করি- 
যে শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, কবি, ও কেরানি
প্রকাশ্য পথে এই হত্যার প্রতিশোধ চায় না
আমি তাকে ঘৃণা করি।

(কবি নবারুণ ভট্টাচার্য রচিত ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’ কবিতাটির একটি অংশ)

এটি একটি রূপক কবিতার কিছু অংশ। কবিতাটি লিখেছিলেন অসাম্প্রদায়িক এবং বিতর্কিত অ্যানার্কিস্ট বাঙালি কবি ও লেখক নবারুণ ভট্টাচার্য (১৯৪৮-২০১৪)। তিনি ১৯৯৯ সালে আমাকে বিয়নেবো’র দার্শনিক মন ও কর্মের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন ‘দ্য বার্ড লাভারস’ (১৯৯৪)-এর ইংরেজি অনুবাদটির মাধ্যমে।

পরের বছরের পুরোটা জুড়ে আমি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে বুঝতে পারলাম বিয়নেবো এবং নবারুণ ভট্টাচার্যের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। তারা দুজনেই প্রান্তিক, নিপীড়িত এবং বিপদগ্রস্ত মানুষের কথা বলেছেন এবং তারা আধুনিক বিশ্বের স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও শাসকদের তৈরি করা আরোপিত সত্যের বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার কণ্ঠ। আমার কাছে নবারুণ ভট্টাচার্যের কবিতা ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’ ইয়েন্স বিয়নেবোর সাহিত্যকর্মগুলোর মতোই একই অভিব্যক্তি বহন করে, যেটির মূল বিষয়টি হলো পূর্ণ স্বাধীনতা।

আরও পড়ুন: বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ১০ জন

বাংলাদেশের সেন্টার ফর এশিয়ান থিয়েটার (সিএটি) বিয়নেবোর ‘অ্যাম্পিউটেশন’ নাটকটি মঞ্চস্থ করেছিল, এটির পেছনের কারণটি হলো নাটকটির সাথে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থাটি পুরোপুরি মিলে গিয়েছিল, যেখানে শাসকগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত প্রদর্শন করছিল রাজনৈতিক বাকপটুতার অর্থে একটি ‘উচ্চ সাহিত্যমান সম্পন্ন সার্কাস’।

‘অ্যাম্পিউটেশন’ নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়েছিল ২০০৮ সালের ৭ মার্চ তারিখে ঢাকার জাতীয় নাট্যশালায়। এই সময়টিতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাটি মারাত্মকভাবে বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। 

২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারিতে সেনাবাহিনীর সমর্থনে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর ফখরুদ্দিন আহমদ, যিনি একসময় বিশ্ব ব্যাংকে কাজ করেছিলেন, তিনি অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তিনি কার্যকর থাকা কারফিউ তুলে নিয়েছিলেন, কিন্তু জরুরি অবস্থাটি জারি করে রেখেছিলেন, কারণ জনগণকে সংবিধান যে মৌলিক অধিকারগুলো দিয়েছিল- বিশেষ করে চলাচল, সমাবেশ ও কথা বলার স্বাধীনতা, সেগুলো স্থগিত করা হয়েছিল বিক্ষোভ ও ধ্বংসাত্মক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সীমাবদ্ধ করার জন্য। দেশের ওই ধরনের একটি রাজনৈতিক অবস্থাকে খুব সহজেই যুক্ত করা গিয়েছিল বিয়নেবোর এই কথাটির সঙ্গে- ‘ক্ষমতাহীনদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের সহিংসতা’। (বই: Before the Cock Crows)


নাটক: অ্যাম্পিউটেশন। রচনা : ইয়েন্স বিয়নেবো। অনুবাদ : রায়হান আখতার। পরিকল্পনা ও নির্দেশনা : কামালউদ্দিন নীলু, প্রযোজনা : সেন্টার ফর এশিয়ান থিয়েটার। ছবি : কুর্ট হারমেনসেন।

বিয়নেবো নিজেই বলেছেন তার শৈল্পিক-রাজনৈতিক ভাবনা ‘ফিউচারিস্টিক ফ্যান্টাসি’ হলো ‘বিজ্ঞানসম্মত ও দর্শনভিত্তিক, এবং একই সঙ্গে সার্কাসের মতো ও শারীরিক’। আমি এই ব্যাপারটি পারফর্মেন্সটির মধ্যে বজায় রেখেছিলাম। পারফর্মেন্সটি তার মতবাদ ‘আগামীর থিয়েটার’কে রি-ইনভেস্টিং এবং রি-রিডিংও করেছিল, যেটির মূলে ছিল ‘সাইকোসোমাটিক’ থিয়েটার; ‘...জড়িত ছিল মন এবং শরীর উভয়েই’। আমরা বিয়নেবোর ভাবনাটিকে প্রয়োগ করেছিলাম অন্য একটি স্থান এবং অন্য একটি সময়ের ভেতরের সমকালীন রাজনৈতিক শারীরিক-পারফর্মেন্সের সাহায্যে।

সামগ্রিকভাবে, আমরা দেখতে পেয়েছিলাম তার ভাবনাটি একটি শৈল্পিক প্রভেদ এবং বিতর্ক সৃষ্টি করতে চায়, যেটি উচ্চ এবং নিম্ন শিল্পগুলোর একটি মিশ্রণ। আমার কাছে, তার ভাবনাটি হলো একটি ‘টোটাল থিয়েটার’। একটি ফিউচারিস্টিক পারফর্মেন্স মডিউলের মধ্যে একটি নতুন থিয়েটার সৃষ্টি করতে যেয়ে মিউজিক্যাল ক্লাউনটি স্থাপন করা হয়েছিল নতুন বাস্তবতাটির ভেতরে, যেটিকে বলা হচ্ছে ‘আগামীর থিয়েটার’। বিয়নেবো তার নিজের ভাবনাটিকে কাজে পরিণত করতে গিয়ে এবং একটি পরাবাস্তববাদী বিমূর্ত জগৎ সৃষ্টি করতে গিয়ে তাকে বিভিন্ন ধরনের মতবাদ, সমকালীন নাট্যপরিবেশনা রীতি, পদ্ধতিগত নাট্যরচনা এবং অন্যান্য নিয়মনীতির সাহায্য নিতে হয়েছিল। যেগুলোর মধ্যে আছে শেক্‌সপিয়র, কমেডিয়া দেল আর্তে, মায়ারহোল্ড, আন্দ্রে আঁতোয়া, আন্তোনিন আর্ত্যু, ব্রেখট, কোপ্যু, গ্রোটোস্কি এবং বারবারা। আমার কাছে বিয়নেবোর ভাবনাটি হলো একটি বিকল্প পেডাগোজিক্যাল মডিউলের মধ্যে এই সমস্ত কিছুর একটি মিশ্রণ। তার থিয়েটারটি প্রাতিষ্ঠানিক থিয়েটারের সব ধরনের নিয়ম ও রীতির বিরুদ্ধে, এবং সেই সাথে বুর্জোয়া ও স্বভাববাদী মনঃস্তাত্ত্বিক নাটকেরও বিরুদ্ধে। 

এছাড়াও, আমার নির্দেশনা সংক্রান্ত পারফর্মেন্সটি ছিল মিথস্ক্রিয়ামূলক এবং উন্মুক্ত, কারণ বিয়নেবো খুব দৃঢ়ভাবে দাবি করেছেন, ‘আমার নাটকগুলোই পারফর্মেন্সের প্রধান সুর’। এজন্য আমি অ্যাকশন লাইনগুলোর ভেতরে অনেক উন্মুক্ত জায়গা রেখেছিলাম যেগুলো পূর্ণ করেছিল অভিনয়শিল্পী ও দর্শকরা তাদের স্থান-কালের অবস্থান ও চাহিদা অনুসারে।

এই ধরনের একটি অপ্রথাগত বাস্তবসম্মত স্থান সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জটি ছিল বিদ্যমান প্রথাগত থিয়েটারের স্থানটিকেই পুনর্নির্মাণ করা এবং এটিকে আরো ঘনিষ্ঠ, আরো সঞ্চরণশীল এবং আরো অর্থবহ করা। বাস্তবসম্মত স্থানটির মাধ্যমে আমাদেরকে দৃশ্যমান করাতে হয়েছিল- যেটিকে বিয়নেবো বলেছেন ‘প্রভুত্বশীল ব্যবস্থা’ সেটিকে, এবং এই প্রভুত্বশীল ব্যবস্থাটি হলো সমাজের একটি বিস্তৃত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং দুর্বৃত্তায়নের একটি প্রাথমিক শেকড়। সুতরাং, একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ সমাজের ভেতরে রাজনৈতিকভাবে একটি সঠিক জগৎ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে আমাদের নাটকটির ভেতরে প্রভুত্বশীলতার মূল জায়গাটি ছিল সামরিক ব্যবস্থা এবং চিকিৎসাশাস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ফুকোর মতে, ‘জেলখানা, স্কুল, কারখানা, সামরিক ছাউনি এবং হাসপাতালগুলো সব একই ধরনের প্রতিষ্ঠান...’

আমরা বিয়নেবোর অ্যাকশন লাইনকে একটি সাইকো-ফিজিও-মিউজিক্যাল কাঠামোগত অবস্থানে রূপান্তর করেছিলাম। সমকালীন বাংলাদেশে তাদের ক্ষমতা ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণটি প্রকাশ করা হয়েছিল সামরিক ব্যবস্থার কয়েকটি কাল্পনিক প্রতিচ্ছবি তৈরি করার মাধ্যমে, যেটিকে বিয়নেবো বলেছেন ‘একটি বিশ্বের পরাবাস্তববাদী পাগলা গারদ’।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্বপ্নদলের ‘ডাকঘর’

বিয়নেবো যেমনটি জোর দিয়ে বলেছেন, সবকিছুই হতে হবে ‘অ্যাকশন’। এটি আমাদের নাটকটির মধ্যে ছিল। আর এজন্যই আমি মনে করি আমাদের নাট্যপ্রযোজনা ‘অ্যাম্পিউটেশন’ গতানুগতিক থিয়েটার পারফর্মেন্সের তুলনায় এটি হলো একটি নাট্যপ্রক্রিয়া। এটির মধ্যে আছে স্থান, শরীর ও মনের ট্রান্সফর্মেশন এবং ট্রান্সমিউটেশন। এটি হলো অপূর্ণতার অপূর্ণ সৌন্দর্য, যেটিকে আমি বলি ‘নন্দনতত্ত্বের ভেতরে রাজনীতি’।

আমার কাছে, ‘অ্যাম্পিউটেশন’ হলো ভয়াবহতা, রক্ত এবং আপসহীন বর্বরতায় পূর্ণ একটি আদিম নাটক।

আমাদের ২০০৮ সালের অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সামরিক ক্ষমতা, প্রোপাগান্ডা, সামাজিক নিয়ন্ত্রণ এবং মানুষকে বস্তু ভেবে নেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গিটির পরিপ্রেক্ষিতে ‘শাসককে প্রত্যাখ্যান এবং ব্যক্তি মানুষের মুক্তি’ ছিল আমাদের নাটকটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু। আমাদের নাটকটির মধ্যে আরো ছিল সমকালীন বিশ্বের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু; বিশেষ করে অবিচার, স্বৈরতন্ত্র, ক্ষমতার অপব্যবহার, ক্ষমতাহীনদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র এবং সন্ত্রাস। আমাদের পারফর্মেন্সটির লক্ষ্য ছিল ক্ষমতার হিংস্রতা এবং এটির বিস্তৃত হওয়ার প্রবণতা।

আমি মনে করি ‘অ্যাম্পিউটেশন’ একটি ব্ল্যাক কমেডি, এটির অ্যাকশন লাইনের মধ্যে মলিয়ের-এর নাটকগুলোর মতো বিশুদ্ধ কমেডি কিংবা প্রহসন নেই, এটির মধ্যে আছে কালো বা অসুস্থ হাস্যরস। এটি সমকালীন বিশ্বের ভেতরে থাকা সন্ত্রাস এবং ভয়ংকর প্রভাব সৃষ্টিকারী তিক্ত ক্রোধ এবং কদর্যতায় পূর্ণ। আমাদের নাটকটিতে আমরা উল্লেখিত সময়ে অসাংবিধানিক এবং বেআইনি রাজনৈতিক হত্যা, খুন এবং মৃত্যুর ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে আলোকপাত করেছিলাম। সব মিলিয়ে, আমাদের নাটক ‘অ্যাম্পিউটেশন’-এর মধ্যে যন্ত্রণা এবং আনন্দ সমান্তরালভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল আমাদের সমকালীনতাকে সঙ্গে নিয়ে।

আমরা দেখতে পেয়েছিলাম নাটকটি স্থানীয় প্রেক্ষাপটে কোনো বড় ধরনের রূপান্তর ছাড়াই দর্শকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করবে। রায়হান আখতার, যিনি ‘অ্যাম্পিউটেশন’ নাটকটিকে বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন, তিনি ডিন্যাচারালাইজেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটির কোনো আন্তঃসাংস্কৃতিক রূপান্তর বা ডমিস্টিকেটেড টেক্সট তৈরি করেননি। নাটকটির বিষয়বস্তুর প্রকৃতির কারণেই এটি ছিল অনেকটা আক্ষরিক অনুবাদ, যেটি সারা বিশ্বেই দেখা যায়। শাসককে প্রত্যাখ্যান করাটাই হলো এটির মূল বিষয়।

একজন নাট্যনির্দেশক হিসেবে এটি আমার অভিজ্ঞতা যে স্থানীয় দর্শকদের কাছে সোর্স টেক্সটিকে অর্থপূর্ণ করার জন্য সেটির আমূল পরিবর্তন না করে আমরা স্থানীয় প্রেক্ষাপট থেকে কিছু সহায়ক উপাদান ব্যবহার করি। এই নাটকটির ক্ষেত্রে আমরা ব্যবহার করেছিলাম নবারুণ ভট্টাচার্যের কবিতা ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’। এই কবিতাটি দক্ষিণ এশিয়ার কর্তৃত্ববাদী ক্ষমতার কাঠামোর পাশবিকতা এবং বর্বরতার মাত্রা বুঝতে আমাদেরকে সাহায্য করেছিল। সুতরাং, বর্তমান বিশ্বে শৃঙ্খলাবদ্ধ করার প্রক্রিয়া এবং ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কে বিয়নেবোর ভাবনাটি বোঝার জন্য ‘অ্যাম্পিউটেশন’ নাটকটির বাংলা ভাষ্যটি ছিল নবারুণ ভট্টাচার্যের অমার্জিত দৃশ্যচিত্রগুলোর একটি শক্তিশালী প্রতিচ্ছবি : 
 

হাজার ওয়াট আলো চোখে ফেলে রাত্রিদিন ইন্টারোগেশন
মানি না।
নখের মধ্যে সুঁচ, বরফের চাঙড়ে শুইয়ে রাখা
মানি না।
পা বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা যতক্ষণ রক্ত ঝরে নাক দিয়ে
মানি না। 
ঠোঁটের ওপরে বুট, জ্বলন্ত শলাকায় সারা গায় ক্ষত
মানি না।
ধারালো চাবুক দিয়ে খণ্ড খণ্ড রক্তাক্ত পিঠে সহসা অ্যালকোহল
মানি না।
নগ্নদেহে ইলেকট্রিক শক, কুৎসিত বিকৃত যৌন অত্যাচার
মানি না।
পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা, খুলির সঙ্গে রিভলবার ঠেকিয়ে গুলি
মানি না।

নাটকটি একটি কর্তৃত্ববাদ-বিরোধী সামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থাকেই প্রকাশ করে, যেখানে রাষ্ট্র ও সমাজ সেইসব মানুষকে জায়গা দিচ্ছে না যাদের ভাবনাগুলো ক্ষমতাসীন মানুষগুলোর চেয়ে ভিন্ন। বিয়নেবো যে সময়টিতে ‘অ্যাম্পিউটেশন’ লিখেছিলেন সেই সময়টির মতোই নাটকটি বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটেও সমসাময়িক।

ইত্তেফাক/জেডএইচ