বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ফিকার দাবি মানতে নারাজ বিসিবি

আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২০, ০৭:৩৮

বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ঘরোয়া ক্রিকেট লিগগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও টুর্নামেন্টগুলো নিয়ে সমালোচনারও কমতি নেই। প্রায় শোনা যায় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ঘরোয়া ক্রিকেট লিগগুলো আর্থিক অস্বচ্ছতা নিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সংগঠন ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন(ফিকা) এক জরিপের ভিত্তিতে জানিয়েছে অন্তত ৩৪ শতাংশ খেলোয়াড় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগসহ ছয়টি ফ্র্যাইঞ্চাজি লিগে পারিশ্রমিকজনিত ঝামেলায় পড়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অবশ্য বিষয়টি অস্বীকার করেছে। 

এ বিষয়ে বিসিবির পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য জালাল ইউনুস বলেছেন,‘ফিকার এই প্রতিবেদন পুরোপুরি সত্য নয়। কিছু বিষয় হয়তো থাকতে পারে, এখানে ড্রাফট ও ড্রাফটের বাইরের খেলোয়াড়দের খেলার সুযোগ আছে। ড্রাফটে থাকা  খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোনরকম সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ বিষয়টি বোর্ড পুরোপুরি দেখে। আমরা তাদের পুরো পেমেন্ট দিয়ে দিই। তবে ড্রাফটের বাইরের ক্রিকেটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। ফলে পেমেন্টের সমস্যা ড্রাফটের বাইরের দুই একজন ক্রিকেটারের সঙ্গে হলে হতে পারে! কিন্তু সেটা মোটেও অনেক বেশি নয়, সামান্য পরিমাণে হতে পারে।’

জালাল ইউনুসের দাবি, কোনভাবেই পারিশ্রমিক দেওয়ার ব্যাপারে বিসিবির কোনও গাফিলতি নেই। এমন কোনও সমস্যা থাকলে  বিদেশি খেলোয়াড়েরা অন্তত বিসিবিকে জানাতেন। জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘আমাদের কাছে তো কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। ফলে ফিকা বললেই আমরা ভিকটিম হয়ে গেলাম, সেটা তো নয়। কোনও খেলোয়াড় যদি আমাদের হস্তক্ষেপ চায়,আমরা করবো। 

ফিকার এই প্রতিবেদনে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডা, আবুধাবি টি-টেন, কাতার টি-টেন, ইউরো টি-টোয়েন্টি স্ল্যাম ও মাস্টার্স চ্যাম্পিয়নস লিগের সঙ্গে বিপিএলের কথা বলা হয়েছে। লিগগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই একমাত্র আইসিসির পূর্ণাঙ্গ সদস্য। তাছাড়াও আবুধাবি টি-টেন ও ইউরো টি-টোয়েন্টি স্ল্যামে বিশ্বের নামিদামি খেলোয়াড়েরা খেলেন। পারিশ্রমিকজনিত সমস্যার কারণে গতবছর কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি মাঠে গড়ায়নি। একই কারণে স্থগিত করা হয় ইউরো টি-টোয়েন্টি স্ল্যাম।

খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকজনিত সমস্যার হাল বের করতে আইসিসিকে তাগিদ দিয়েছে ফিকা। ফিকার প্রধান নির্বাহী টম মোফফাত বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের চুক্তিলঙ্ঘন ও পারিশ্রমিক না দেওয়ার বিষয়গুলো দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে। আইসিসির অধীনে কাজ করা ব্যক্তিদের রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। তাই এ বিষয়টি নিয়ে আইসিসির যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’

পারিশ্রমিকের জটিলতায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও বন্ধ ছিল দুই বছর। বিপিএলের দ্বিতীয় আসর শেষে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক দিতে না পারায় বন্ধ হয়ে যায় লিগটি। পরে নিলামপ্রথা তুলে দিয়ে প্লেয়ার বাই চয়েস পদ্ধতি প্রবর্তন করে বিসিবি।

ইত্তেফাক/এসআই