শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সংখ্যাতত্ত্বে ম্যারাডোনা

আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২০, ২০:৪৫

দিয়েগো ম্যারাডোনা যে কীর্তি, প্রভাব রেখে যাচ্ছেন, যে জীবন যাপন করে গেছেন, সেসবকে নেহায়েত সংখ্যায় প্রকাশ করাটা প্রায় অসম্ভব। তবুও তার ফেলে যাওয়া সংখ্যাগুলো অসামান্য কিছুই।

১ ম্যারাডোনার জেতা বিশ্বকাপের সংখ্যা। সংখ্যাটা তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণও বটে, শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠিতে আর সবার চেয়ে যোজন যোজন ব্যবধানে এগিয়ে দিয়েছিলো যে! 

৩  আর্জেন্টাইন কিংবদন্তীর বিশালতার আন্দাজ মেলে এ সংখ্যা থেকেও। ন্যাপোলি তাদের ৯৪ বছরের ইতিহাসে বড় শিরোপা জিতেছে তিনটি, দুটো সিরি’আ আর একটি উয়েফা কাপ। সবকটিই এসেছে ম্যারাডোনার আমলেই। এর আগে পরে আর কখনোই বড় শিরোপার মুখ দেখেনি নেপলস! 

৯    বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা আর ন্যাপোলির হয়ে ম্যারাডোনার জেতা শিরোপা সংখ্যা।

৩৪    আকাশী-সাদা জার্সি পরে ম্যারাডোনার গোলসংখ্যা। বোকা পরিসংখ্যানে তিনি আছেন আর্জেন্টাইন সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় পঞ্চম স্থানে। তবে গুরুত্ব বিচারে উপরের পাঁচ জনের চেয়ে যে বড় ব্যবধানেই এগিয়ে আছেন ম্যারাডোনা, তা আর বলতে!

বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা:

১    এক বিশ্বকাপে পাঁচ গোল করা আর সতীর্থদের দিয়ে পাঁচটি করানোর কৃতিত্ব দেখিয়েছেন ম্যারাডোনা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এমন কীর্তি আর নেই একটিও।
১/৩    বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জিতেছেন এমন আর্জেন্টাইন আছেন তিনজন। দিয়েগো ম্যারাডোনা তাদেরই একজন। অন্য দুজন হলেন মারিও কেম্পেস (১৯৭৮) ও লিওনেল মেসি (২০১৪) 

৮    ম্যারাডোনা খেলতেন, খেলাতেন। তাই বিশ্বকাপে করা গোল আর যোগানও কথা বলছে তেমন সুরেই। ফুটবলের শ্রেষ্ঠ আসরে ম্যারাডোনার গোলসংখ্যা ৮। সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেনও সমান সংখ্যক গোল, ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় এর চেয়ে বেশি যোগান নেই আর কারো!

২১    বিশ্বকাপে ২১ ম্যাচে খেলেছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী। যা ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ।

৬৬    সে ২১ ম্যাচে ম্যারাডোনা-সৃষ্ট সুযোগ সংখ্যা। ১৯৬৬ সাল থেকে এসবের হিসেব রাখা শুরু হয়, সেই থেকে আজ পর্যন্ত এতগুলো সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেননি আর কেউ।

১৫২    বিশ্বকাপে অতোবার ফাউলের শিকার হয়েছেন তিনি। আসরটির ইতিহাসে অতো বেশি ফাউলের শিকার হতে হয়নি আর কাউকে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা খেলোয়াড়টিও আছেন ঢের পেছনে, হজম করেছেন মোটে ৬৪ টি ফাউল।

৫১/১০    ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শতাব্দীর সেরা গোলটায় আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর সময় নিয়েছিলেন মোটে ১০ সেকেন্ড, পাড়ি দিয়েছিলেন ৫১ মিটার। ১৯৬৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে এর চেয়ে বেশি দূরত্ব পাড়ি দিয়েছেন মোটে ৩ জন খেলোয়াড়। সঙ্গে যোগ করুন নয়জনকে ড্রিবলে ছিটকে দেয়ার ঘটনা। শতাব্দীর সেরা গোল না হয়ে যায় কী করে!

ইত্তেফাক/এসআই