গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে হোম সিরিজের পর থেকে মাঠের বাইরে মাশরাফি বিন মুর্তজা। করোনার লড়াই জেতার পর ফিটনেসে ঘাটতি থাকায় বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে খেলেননি। বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপেও নেই তিনি। এই টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেও হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে পিছিয়ে পড়েন। অবশেষে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ফিরেছেন মাশরাফি।
লম্বা বিরতির পর গতকাল বিসিবি একাডেমি মাঠে ফেরার লড়াইয়ে দেখা গেছে—সাবেক এই অধিনায়ককে। দুপুর ১২টার পর চট্টগ্রাম-বরিশালের অনুশীলন চলাকালীন মাঠে আসেন মাশরাফি। গা গরমের পর্ব শেষে নেটে ৪ ওভার বোলিং করেছেন। পরে পাঁচ রাউন্ড রানিং করেছেন।
শেষ বেলায় দুঃখ প্রকাশ করে ফিরতে হয়েছে মাশরাফিকে। কারণ বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপের কারণে মিরপুর স্টেডিয়াম, একাডেমি মাঠ জৈব সুরক্ষা বলয়ের অন্তর্ভুক্ত। সেখানে বাইরের কারো প্রবেশ নিষেধ। দুই দলের ক্রিকেটাররা থাকা অবস্থায় অনুশীলন করে কার্যত জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙেছেন মাশরাফি। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর নিজেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডানহাতি এই পেসার। তবে অন্য কোনো ক্রিকেটার, কোচকে নিজের কাছাকাছি আসতে দেননি তিনি।
মাশরাফির ভুলক্রমে জৈব বলয়ে প্রবেশের বিষয়ে বিসিবির প্রধান চিকিত্সক দেবাশীষ চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘উনি করোনা টেস্ট করিয়েছিলেন ব্যক্তিগত ভাবে। আমাদের এখানে করাননি। তার অনুশীলন করার কথা ছিল ইনডোরের মাঠে। উনি সেটা বুঝতে পারেননি। যখন সে বুঝতে পেরেছে তার জন্য অন্য জায়গা তৈরি করা হয়েছে তখন সে সরি বলে বেরিয়ে গেছে।’
আরো পড়ুন : ক্রিস্টাল ইনসিওরেন্সের আইপিও লটারির ড্র আগামীকাল
বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপেও খেলার সম্ভাবনা রয়েছে মাশরাফির। ক্রিকেটাঙ্গনে গুঞ্জন, ফরচুন বরিশালের খেলবেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই নাকি তাকে খেলার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছিল বরিশাল দল।
অনুশীলনের সময় মাশরাফির সঙ্গে ছিলেন বিসিবির ট্রেনার তুষার কান্তি। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, স্কিলে সমস্যা নেই। ফিটনেসে উন্নতি এলেই খেলতে পারবেন নড়াইল এক্সপ্রেস। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘ও চেয়েছে তাই আমরা সাহায্য করছি। যেভাবে অনুশীলন করছে এভাবে অবশ্যই সে ফিট হয়ে ফিরতে পারবে। টেকনিক নিয়ে তো তার তেমন কোনো সমস্যা নাই, সমস্যাটা ফিটনেসে। ফিটনেসের ব্যাপারে কাজ করলে সে ফিট হয়ে উঠবে।’
ইত্তেফাক/ইউবি