যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া উত্তর পাড়ায় সংঘটিত জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে এ ঘটনায় ব্যবহিত চাকু ও নিহত এক জনের মোবাইল ফোন। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত খুনি জাহিদ হাসান মানিককে গ্রেফতারের পর বেরিয় আসে খুনের প্রকৃত রহস্য।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল বাদলের পরকীয়া প্রেম। মানিক যশোর সদর উপজেলার চাউলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও নিহত বাদলের বন্ধু। গত ১৫ অক্টোবর রাতে জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটে। খুন হয় যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্র পুর ইউনিয়নের জয়ন্তা গ্রামের বাদল হোসেন (২২) ও আহাদ (২২)।
গত বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে যশোরের পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন এক প্রেস ব্রিফিং এ জানান, বাদলের পরকীয়ার বিষয়টি পরিবারকে জানিয়ে দেয়ার ভয় দেখানোয় প্রতিবেশী আহাদকে খুনের পরিকল্পনা করে বাদল। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন রাতে বাদল, আহাদ ও মানিক এক মোটর সাইকেলে চড়ে জয়ন্ত বাজার থেকে নিয়ে যায় পাশের বলরাম পুরগ্রামে। সেখান থেকে মোটর সাইকেলের মাঝে আহাদকে বসিয়ে মানিক ড্রাইভিং করছিল। আহাদের পিছনে বসা ছিল বাদল। সেখান থেকে তারা মনিরামপুরের ঢাকুরিয়া উত্তর পাড়ায় পৌঁছালে বাদল পিছন দিক থেকে আহাদের গলায় চাকু দিয়ে পোচ দেয়। সেখানে ধস্তাধস্তির এক পর্যায় আহাদ রক্তাক্ত অবস্থায় বাদলের কাছ থেকে চাকু কেড়ে নিয়ে সেই চাকু দিয়ে খুন করে বাদলকে। আহাদ অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে মানিক। মানিকের স্বীকারোক্তি মোতাবেক খুনে ব্যবহৃত চাকু ও বাদলের মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সালা উদ্দীন সিকদার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) তৌহিদুল ইসলামসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
ইত্তেফাক/এমআর