দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জনপ্রতিনিধি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মারধরের ঘটনার আসামিদের ধরে ছেড়ে দেওয়ায় থানার ওসি ফখরুল ইসলামের দাপ্তরিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে তাকে অপসারণের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুই ঘণ্টাব্যাপী ফুলবাড়ী-দিনাজপুর-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারী ও পুরুষরা অংশ নেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এছার উদ্দিন ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র মামুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, পশ্চিম গৌরীপাড়া গ্রামের আজিজার রহমান শাহ এবং তার ভাতিজা গোলাম মোস্তফা শাহের মধ্যে জমিজমার বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য প্যানেল মেয়রের নিজস্ব কার্যালয়ে গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে বৈঠক বসে। বৈঠকে কয়েক জন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় গণমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পৌর শাখা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ ইসলামের নেতৃত্বে কয়েক জন গোলাম মোস্তফার পক্ষ নিয়ে বৈঠকস্থলে এসে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদেরসহ প্যানেল মেয়রকে অকথ্য ভাষায় গালাগালিজ করেন। এক পর্যায়ে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও প্যানেল মেয়রকে মারধর করা হয়। স্থানীয়রা কয়েক জনকে ধরে ওসি (তদন্ত) মাহমুদুল হাসানের কাছে সোপর্দ করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে আটককৃতদের থানায় না নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঐ দিনই ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের পাঁচ-ছয় জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ।
সড়ক অবরোধকালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, ইউএনও রিয়াজ উদ্দিন এবং ফুলবাড়ী সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে যান। ফুলবাড়ী সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। ওসির সব দাপ্তরিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে প্রত্যাহার করা হবে। আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।’
ইত্তেফাক/এসআই