মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সখীপুরে উপবৃত্তিবঞ্চিত কয়েক হাজার শিক্ষার্থী!

আপডেট : ১৮ জুন ২০২১, ০৯:১৯

জন্মনিবন্ধন জটিলতায় সখীপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ হাজার শিক্ষার্থী উপবৃত্তি বঞ্চিত হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাফেউল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলায় ১৪৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজার ২৬৩ জন। উপবৃত্তি পেতে তথ্য ফরম পূরণ করার সময় জন্মনিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জন্মনিবন্ধন করতে পেরেছেন ১৮ হাজার ৪ জন শিক্ষার্থী।

২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের উপবৃত্তি বাবদ তাদের অভিভাবকের মুঠোফোনে নগদ হিসাবে ঢুকেছে ১ কোটি ৬২ লাখ ৩ হাজার ৬০০ টাকা। এদিকে নানা জটিলতায় এবার উপজেলায় ৭ হাজার ২৫৯ জন শিক্ষার্থী জন্মনিবন্ধন সনদ যথাসময়ে জমা দিতে না পারায় অভিভাবকের মুঠোফোনে ডাকবিভাগের ‘নগদ’ অ্যাপসে হিসাব খুলতে পারেনি। ফলে শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, প্রাক-প্রাথমিকের একজন খুদে শিক্ষার্থী মাসে ৭৫ টাকা ও প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থী মাসে ১৫০ টাকা হারে উপবৃত্তি পাবেন। ২০২১ সালের জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত উপবৃত্তির টাকা শিগিগরই একই পদ্ধতিতে পাঠানো হবে। এবার ঐ টাকার সঙ্গে শিক্ষার্থীরা ড্রেস কেনা বাবদ বাড়তি ১ হাজার টাকা করে পাবেন বলে জানা গেছে।

ছবি: সংগৃহীত

বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা এখন জন্মনিবন্ধন সনদ জমা দিলে পরবর্তী সময়ের উপবৃত্তির টাকা পাবেন। তবে পেছনের টাকা ও ড্রেস কেনার ১ হাজার টাকা থেকেও তারা বঞ্চিত হবেন। সখীপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনা আখতার বলেন, ‘তার বিদ্যালয়ে ৭৭৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। গত ছয় মাস ধরে চেষ্টা করে ৫৪২ জন অভিভাবক তার সন্তানের জন্মনিবন্ধন করতে পেরেছেন। বাকি ২৩১ জন এখনো পৌরসভা থেকে জন্মসনদ সংগ্রহ করতে পারেনি।’

সখীপুর পৌরসভার মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুহানিফ আজাদ বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন করতে শিক্ষার্থীর বাবা ও মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র, দাদা-দাদির মৃত্যু হলে মৃত্যুসনদ, বাড়ির কর পরিশোধসহ অনেকগুলো শর্ত পূরণ করতে হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জন্মসনদ সংগ্রহে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’

সখীপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাফেউল ইসলাম বলেন, অভিভাবকেরা নানা জটিলতায় জন্মনিবন্ধন করতে না পারায় দফায় দফায় সরকার সময় বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর পরেও শতকরা ৩০ ভাগ শিক্ষার্থীর অভিভাবক এখনো জন্মসনদ সংগ্রহ করতে পারেনি। এনিয়ে গত সোমবার অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেছি।’

ইত্তেফাক/এএএম