শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সেই খুনী নূর হোসেনের জুয়ার আস্তানায় পুলিশের হানা

আপডেট : ১৩ জুন ২০১৯, ০০:০২

সেভেন মার্ডার মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি নূর হোসেনের আস্তানায় আবারও জুয়ার আসর শুরু করেছিল তার সহযোগীরা। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসির নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ওই আস্তানা ভেঙ্গে আস্তানায় থাকা লেপ তোষকে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল ট্রাক টার্মিনালস্থ নূর হোসেনের সাবেক অফিসের পিছনে একটি খাবারের হোটেলে ওই জুয়ার আসরে অভিযান চালায় পুলিশ। 

এলাকাবাসী জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জের ট্রাক টার্মিনালস্থ নূর হোসেনের অফিসের পিছনে আল মদিনা নামক একটি হোটেলে নূর হোসেনের ক্যাডার বাহিনী খাবার খেত। তাদের হোটেলের খরচ নির্বাহ করতো নূর হোসেন। সেভেন মার্ডারের পর এ হোটেল বন্ধ ছিল। কিন্তু গত দুই দিন যাবৎ এ হোটেলে জুয়ার আসর বসায় বাংলাদেশ ট্রাক কভ্যার্ডভ্যান মালিক সমিতি শিমরাইল ট্রাক টার্মিনাল শাখার সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের শেল্টারে নূর হোসেনের প্রতিবেশী আসাবুদ্দিন ও মিজমিজি পাগলাবাড়ি এলাকার সাইদুল। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলতো এ জুয়ার আসর। জুয়ার খবর পেয়ে সিদ্ধিরঘঞ্জ থানার ওসি শাহিন শাহ পারভেজের নেতৃত্বে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ আস্তানায় গিয়ে জুয়ার আসর ভেঙ্গে দেয়।

এ সময় পুলিশ দুই জুয়াড়িকে গ্রেফতার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। তবে পুলিশ জুয়ার আসরের মূল শেল্টারদাতা বাংলাদেশ ট্রাক কভ্যার্ডভ্যান মালিক সমিতি শিমরাইল শাখার সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, আসাবুদ্দিন ও সাইদুলকে গ্রেফতার করেনি। তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে কোন প্রকার মামলা দায়েরও করেনি পুলিশ।

এদিকে বাংলাদেশ ট্রাক কভ্যার্ডভ্যান মালিক সমিতি শিমরাইল শাখার সভাপতি দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যরা রাতেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মীর শাহিন শাহ পারভেজের সঙ্গে তার কক্ষে বৈঠক করে গ্রেফতার দুই জুয়াড়িকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের নামও প্রকাশ করেনি সাংবাদিকদের কাছে।

আরও পড়ুন: সারিয়াকান্দিতে পুলিশকে মারপিট করে আসামি ছিনতাই

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মীর শাহিন শাহ পারভেজ বলেন, ‘আটককৃতরা জুয়াড়ি না। তারা পুলিশ দেখে ভয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। আমরা ভুলে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

ইত্তেফাক/নূহু