শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চট্টগ্রামে গণধর্ষণ মামলার আসামি প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত

আপডেট : ০৭ জুলাই ২০১৯, ১২:১৮

 

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার একটি পাহাড়ের উপর থেকে রবিবার সকালে পুলিশ  এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত ওই ব্যক্তি কোরিয়ান ইপিজেডের একটি জুতা কারখানার এক নারী কর্মীকে গণধর্ষণ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী এবং এই মামলার প্রধান আসামি আবদুন নুরের (২৫) বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।

 

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুলাল মাহমুদ  ইত্তেফাককে বলেন, রবিবার সকালে উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নে চায়না ইকোনমিক জোনের পাশে হাজীগাঁও পাহাড় থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত আবদুন নুরের  বাড়ি আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নে। তার নামে গণধর্ষণ, ছিনতাই, ডাকাতিসহ মোট ৪টি মামলা রয়েছে। তিনি কোরিয়ান ইপিজেডের এক নারীকর্মীকে গণধর্ষণ ঘটনার মূলহোতা ও একটি ডাকাত চক্রের সদস্য। ডাকাত চক্রের নিজেদের মধ্যে বিবাদের সূত্র ধরে গুলিবিনিময়ের ঘটনায় তিনি নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সকালে স্থানীয় কৃষকরা লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে লাশ ও  একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। লাশটি উদ্ধারের পর সেটি গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আবদুন নুরের বলে  সনাক্ত করা হয়।

 

তিনি আরো বলেন, গত জানুয়ারি মাসে এবং পরে রমজান মাসে দুটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০১৮ সালে ডাকাতির অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামিও তিনি। ঘটনার দিন আবদুন নুরের নেতৃত্বে ৪ জনের ডাকাত চক্রটি ইপিজেড নারী কর্মীকে ধর্ষণের জন্য ওঁৎ পেতে ছিল।

আরো পড়ুন : এবার পালানো বউয়ের বিরুদ্ধে দুবাই শাসকের মামলা

পুলিশ সূত্র জানায়, ১৫ বছর বয়সী এই নারী কর্মী গত ৩ জুলাই  কারখানায় কাজ শেষে রাত ৮টার দিকে চন্দনাইশ উপজেলার বাড়িতে যাওয়ার জন্য রাস্তায় নামতেই দুর্বৃত্তদের কবলে পড়ে গণধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণকারীরা তাকে মুমূর্ষূ অবস্থায় আনোয়ারা থানার চৌমুহনীর কাছে কালারমার দিঘী এলাকায় রাস্তার অন্ধকারচ্ছন্ন এলাকায় ফেলে চলে যায়। স্থানীয় জনগণ তাকে দেখতে পেয়ে তার কাছ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়। ভাইসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান। সে জানায় চোখ বেঁধে ৪ ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনার শিকার কিশোরীর ভাই বাদি হয়ে গত ৪ জুলাই রাতে আনোয়ারা থানায় অজ্ঞাতনামা ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা  করেন। মামলার ২ আসামি কিশোরীকে বহনকারী অটোরিকশার চালক মামুন (২০) এবং যাত্রী হেলাল উদ্দিনকে (৩০) গত ৫ জুলাই রাতে গ্রেফতার করা হয়। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় অপরাধ স্বীকার করে  জবানবন্দি দিয়েছে।

 

ইত্তেফাক/ইউবি