ঝালকাঠিতে যৌন কাজে বাধ্য করার ঘটনায় মা ও সৎ বাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭৮(১) ধারায় যৌন কাজে উৎসাহ প্রদান এবং যৌন সংগমে বাধ্য করার অপরাধে এই মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশ গত মঙ্গলবার রাতে শহরের কালীবাড়ি সড়কের বাসা থেকে ছাত্রীটিকে গর্ভবতী অবস্থায় উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে ছাত্রীর মা ছাহেরা বেগম কাজল ও তার দ্বিতীয় স্বামী কাজী মোঃ আলমগীরকে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালত ছাত্রীটিকে খালার জিম্মায় দিয়ে মা ও সৎ বাবাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার এজাহারে ঘটনার শিকার স্কুলছাত্রী উল্লেখ করে, 'আমার মায়ের ৫ বিয়ে। আমি আমার মায়ের প্রথম স্বামী ইউনুস হাওলাদারের সন্তান। এর মধ্যে দ্বিতীয় স্বামী কাজী মোঃ আলমগীর। ২/৩ বছর আগে মায়ের সঙগে আলমগীরের ছাড়াছাড়ি হয়। এক পর্যায়ে মা এবং আলমগীর আমাকে যৌনবৃত্তি করাতে উৎসাহ প্রদান করে। এতে আমি রাজি না হলে এ বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন এলাকার লোকজন এনে আমাকে যৌন কাজে বাধ্য করে তারা। এক পর্যায়ে আমি ৬ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়ি। তাই ১ মাস পূর্বে তারা আমার পেটের বাচ্চা নষ্ট করতে শহরের মৌমিতা ক্লিনিকে নিয়ে যায়। কিন্তু ক্লিনিক আমার পেটের বাচ্চা নষ্ট করতে রাজী না হলে আসামী কাজী মোঃ আলমগীর তার বাসায় আমাকে নিয়ে আসে। গত ৯ সেপ্টেম্বর রাত ৮ টার দিকে আমার মা তার সাথে উকিল খান শহিদুল ইসলামকে নিয়ে কাজী আলমগীরের বাসায় এসে ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তারা আমার পেটের বাচ্চা আলমগীরের মাথায় চাপিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ সময় কাজী আলমগীর টাকা দিতে অস্বীকার করে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। তখন বিষয়টি জানাজানি হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু
পুলিশ ঐ রাতেই ছাত্রীটিকে সেই বাসা থেকে উদ্ধার করে তার মা ও দ্বিতীয় স্বামীকে আটক করে। বুধবার পুলিশ মামলার বাদী ছাত্রীটিকে নিয়ে আসামি মা ছাহেরা বেগম কাজল ও তার দ্বিতীয় স্বামী কাজী মোঃ আলমগীরকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। আদালত আসামি দুজনকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
ইত্তেফাক/নূহু