শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পদ্মা-মেঘনায় থেমে নেই ইলিশ ধরা

আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৩:৩২

৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ শিকার, বিপণন, পরিবহন ও মজুদ নিষিদ্ধ থাকলেও শরীয়তপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীর ৬৯ কিলোমিটার এলাকায় চলছে মা ইলিশ শিকার। ঐসব ইলিশ বিক্রি করার জন্য পদ্মা ও মেঘনা নদীর তীরের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী বাজার বসানো হয়েছে। ঐসব বাজারে দিনে-রাতে বিক্রি করা হচ্ছে মা ইলিশ।


শরীয়তপুর জেলা মত্স্য কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নদী থেকে মাছ শিকার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করলে মত্স সংরক্ষণ আইনে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে। কিন্তু আইন ও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শরীয়তপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মাছ শিকার করা হচ্ছে।

শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা হতে গোসাইরহাটের নলমুড়ি পর্যন্ত ৬৯ কিলোমিটার পদ্মা ও মেঘনা নদী প্রবাহিত রয়েছে। নদীর দুই তীরে জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলা অবস্থিত। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যে মা ইলিশ শিকার করা হচ্ছে তা বিক্রি করার জন্য জাজিরার ১২টি, নড়িয়ার পাঁচটি, ভেদরগঞ্জের ছয়টি ও গোসাইরহাট উপজেলার সাতটি স্থানে পদ্মা ও মেঘনা নদীর তীরে অস্থায়ী বাজার বসানো হয়েছে।

নদী থেকে ইলিশ শিকারিরা বলেন, ‘নদীতে এ বছর মাছ পাওয়া যাচ্ছে বেশি। আর মাছের সাইজও বড়ো। প্রতিদিন গড়ে ৭০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করতে পারছি।

আরও পড়ুন: আবারও শাপলা চত্বরে জমায়েতের হুমকি হেফাজতের

এদিকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ইলিশ শিকার, পরিবহন ও ক্রয় করার অভিযোগে ৭৫৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলেদের কাছ থেকে ২৫ লাখ মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে।

জেলা মত্স্য কর্মকর্তা বিশ্বজিত্ বৈরাগী বলেন, ‘মত্স বিভাগ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে ১২টি দল নদীতে অভিযান চালাচ্ছে। যেখানেই জেলেদের মাছ শিকার করতে দেখা যায় সেখানেই অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

ইত্তেফাক/ইউবি