শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের স্বীকারোক্তি দিলো পাকিস্তান

আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২০, ১৮:১৪

পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও সাংসদ দেশটির সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কথা স্বীকার করেছে। দেশটির সেনাবাহিনী কর্তৃক ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা এলাকায় হামলায় ৪০ জন ভারতীয় পুলিশ-সিআরপিএফ সদস্য নিহত হওয়ার পর পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সেনাদের ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা দেন। এরপরেই ৩০০ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে আড়াই হাজার পাকিস্তানি সেনা ৭৮টি সামরিক যানে করে নিজ দেশের দিকে ফিরছিলেন বলে দাবী করছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ওই ঘটনার পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গীসংগঠন জাইস-এ-মোহাম্মদ (জেইএম) প্রধান মাসুদ আযার হামলার দায় নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। এরপর ২০১৯ সালের ১লা মে জাতিসংঘ তাকে আন্তর্জাতিক শীর্ষ জঙ্গিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটের কথিত এক সন্ত্রাসী শিবিরে অভিযান পরিচালনা করেছিল ভারতীয় বিমানবাহিনী। এরপরের দিন ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর এফ-১৬ মডেলের একটি বিমান। ওই বিমানকে ধাওয়া করেন অভিনন্দন। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কাশ্মীরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। পরে তাকে আটক করে পাকিস্তানি সেনারা। কিন্তু ১ মার্চ মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান।

আরো পড়ুনঃ ‘দলকানা’ বিএনপির মুখে শুধুই সমালোচনা : তথ্যমন্ত্রী

এ প্রসঙ্গে গত সপ্তাহে পাকিস্তান সংসদে দেয়া এক বক্তব্যে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এন (পিএমএল-এন)-এর নেতা ও সংসদ সদস্য আয়াজ সাদিক দাবী করেন, ভারতের বিমানবাহিনী পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে ভয়েই ছেড়ে দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। কোনো সৌজন্য কিংবা শান্তির বার্তা পেয়ে তাকে ছাড়া হয়নি। সেদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। সেখানে পিএমএল-এন প্রতিনিধি ও সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়াও ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা থাকলেও আসেননি তিনি।

তিনি আরো বলেন, জেনারেল বাজওয়া সেদিন পা কাঁপতে কাঁপতে বৈঠকে ঢুকেছিলেন। বেশ ঘেমেও গেছিলেন। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি দ্রুত অভিনন্দনকে ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাব দেন। কারণ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, অভিনন্দনকে মুক্তি না দিলে রাত ৯টার মধ্যেই পাকিস্তান আক্রমণ করবে ভারত। এমন ভয়েই তারা ভারতীয় পাইলটকে ছেড়ে দিয়েছে।

ইত্তেফাক/টিআর/এমএএম