শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘মুসলিমবিরোধী’ আইন প্রণয়ন করলো ফ্রান্স

আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:৫৪

চরমপন্থাকে দমন করতে কিছুদিন আগে থেকেই একটি আইনের কথা বলে আসছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। অবশেষে সেই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে এতে কোনো ধর্মের মানুষের কথা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি বলে জানায় ফ্রান্স প্রশাসন। 

তুর্কি ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের বরাতে জানা যায়,ইতোমধ্যেই এ নিয়ে বিতর্ক উঠেছে আইনটি নিয়ে। আইনে বলা হয়েছে, শিশুদের বয়স ৩ বছর হলেই তাকে স্কুলে ভর্তি করাতে হবে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া ঘরোয়া শিক্ষার ব্যবস্থা করা যাবে না। মূলত ঘরের মধ্যের এই ‘অপ্রকাশ্য’ স্কুলই শিশুদের মনকে চরমপন্থার দিতে ধাবিত করে বলে মনে করছে ফ্রান্স সরকার।

নতুন এই আইনে বলা হয়েছে মসজিদগুলোকে সরকারিভাবে নিবন্ধিত করতে হবে। যাতে করে সরকার এগুলোর ওপর সম্পূর্ণভাবে নজরদারি আরোপ করতে পারে। মসজিদগুলোর অর্থের উৎস এবং আয়-ব্যায় নিয়মিত প্রকাশ করতে হবে। 

আইনটির মাধ্যমে নারীদের হিজাব পরার ওপরও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে, তবে সরাসরি নিষিদ্ধ করা হয়নি। বলা হয়েছে, মার্কেট, সুইমিং পুলসহ বিভিন্ন জায়গার জন্য নির্ধারিত পোশাক পরতে হবে। কোনোভাবেই এ নিয়ম ভঙ্গ করা যাবে না।

আরো পড়ুন: কারাবাখ বিজয়কে ‘গৌরবময়’ বলে এরদোগানের প্রশংসা

এদিকে ফরাসি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলছেন, তার রক্ষাকবচ হবে এই আইন। কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে এই আইন নয়। চরমপন্থা যাতে কোনোভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেজন্য বিভিন্ন বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে আইনটিতে।

এদিকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, মসজিদ, সমিতি, সরকারি অফিস এবং স্কুলগুলোতে নজরদারি বাড়াতে আইনটি পাস করলো ফ্রান্স। তবে ৫০টি ধারার এ আইনে ‘ইসলাম’ বা ‘মুসলিম’ কোনো শব্দই উল্লেখ করা হয়নি।

মুসলিম বিরোধী আইনটি নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক উঠলে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসটেক্স জানান, এটি মূলত সুরক্ষার আইন। এ আইন কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে করা হয়নি। বরং চরমপন্থা থেকে মুসলিমদের এটি মুক্তি দেবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

ইত্তেফাক/ এএইচপি