করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধের মধ্যে এক সহকারীকে চুমু খেয়ে বেকায়দায় পড়েছেন যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। তার ওই ছবি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। মন্ত্রিসভা থেকে তাকে বের করে দেওয়ার দাবিও তুলেছে অনেকে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চাপের মুখে সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ ভেঙে সহকারীকে চুমু খাওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। গিনা কোলাডঅ্যাঞ্জেলো নামের ওই সহকারীকে ম্যাট হ্যানকক নিজেই নিয়োগ দিয়েছিলেন। তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ পাওয়ার পর দুঃখ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেছেন, তিনি মানুষকে হতাশ করেছেন।
এই ঘটনার পর যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির পক্ষ থেকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতি হ্যানকককে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। তার অবস্থানকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়েছে লেবার পার্টি।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যানকক ও কোলাডঅ্যাঞ্জেলো দুজনই বিবাহিত। তাদের তিনটি করে সন্তানও রয়েছে। নিজের স্ত্রীকে অফিস সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি ক্ষমতার অপব্যববার বলে দাবি করে আসছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
যুক্তরাজ্যে বিধিনিষেধ চললেও কাজের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে নেই। তবে সরকারের পরামর্শ হচ্ছে, যেখানে সম্ভব মানুষ যেন দুই মিটার বা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে অন্তত এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখে। পাশাপাশি দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে এ নিয়ম মানতে হবে বা মাস্ক পরতে হবে।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান অ্যানেলিস ডডস বলেন, হ্যানকক নিজেই নিয়ম তৈরি করেছেন। তিনি তা ভাঙার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাকে পদ ছাড়তে হবে। তিনি যদি পদত্যাগ না করেন, তবে প্রধানমন্ত্রীর তাকে বরখাস্ত করা উচিত।
লেবার পার্টির একজন মুখপাত্র বলেছেন, সরকার এটাকে আড়াল করার চেষ্টা করলেও বিষয়টি এখানেই শেষ হয়ে যায়নি।
বিবিসি বলছে, সরকার মনে করে, এই ঘটনায় কোনো আইন লঙ্ঘন হয়নি। কারণ, হ্যানকক ও তাঁর সহকারী দুজনই দপ্তরে বৈধ কাজের জন্য গিয়েছিলেন।
দেশটির লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকেও হ্যানকককে পদত্যাগ করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে সামাজিক দূরত্ব রাখার বিষয়টি নিয়ে ভণ্ডামির অভিযোগ তোলা হয়েছে।
ইত্তেফাক/টিআর